হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের পর এবার বিহারের মুজফফরপুর। ধর্ষণে বাধা দিয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়া নির্যাতিতার মৃত্যু হল পটনার হাসপাতালে। গত ৭ ডিসেম্বর ওই ধর্ষণ করতে এসে বাধা পেয়ে ওই নির্যাতিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এক অভিযুক্ত। যার জেরে নির্যাতিতার শরীরের প্রায় নব্বই শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই নির্যাতিতাকে প্রথমে মুজফফরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে পটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দশ দিন লড়াই করার পর এ দিন সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গত ৭ ডিসেম্বর অহাইপুর থানার নাজিরপুরে নিজের বাড়িতে একা থাকার সময় ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে রাজা রাই নামে এক অভিযুক্ত। কিন্তু নির্যাতিতা বাধা দেওয়ায় তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় রাজা।
ঘটনার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, তিন বছর ধরে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত ওই যুবক। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে দ্বাদশ শ্রেণির পর ওই যুবতীকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তাঁর মা। অভিযোগ, অন্তত পাঁচ বার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অহাইপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার মা। কিন্তু প্রত্যেকবার কোনও না কোনও অজুহাতে তাঁকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।