ঝটিতি এলোপাথারি থাবা, পর্যটকদের সামনেই দুই বাঘের হিংস্র লড়াই - দেখুন ভাইরাল ভিডিও

হুড-খোলা জিপে বসে আছেন পর্যটকরা

তাদের সামনেই দুই বাঘের তীব্র লড়াই

ধরা পড়ল পর্যটকদের ক্যামেরায়

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সোশ্যাল মিডিয়ায়

amartya lahiri | Published : Jan 20, 2021 1:03 PM IST

ভারতের এক সংরক্ষিত অরণ্য়। হুড-খোলা জিপে চড়ে জঙ্গল সাফারিতে বেড়িয়েছেন পর্যটকরা। এমন সময় সামনেই ব্যঘ্র দর্শন। জঙ্গলের মধ্যে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে একটি নয়, এক জোড়া বাঘ। স্বাভাবিকভাবেই এমন বিরল দৃশ্য দেখে মোহিত হয়েছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু, আচমকাই হল বিপত্তি। একটু দূর দিয়ে হেঁটে যাওযা বাঘটি হঠাৎই অপর বাঘটিকে করে বসল আক্রমণ। তারপরের কিছুক্ষণ ধরে চলল ধুন্ধুমার। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে তখন আর রা কাড়ার অবস্থায় নেই পর্যটকরা। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করেছেন ভারতীয় বন পরিষেবা বিভাগের কর্মকর্তা প্রবীণ কাসওয়ান। ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন ভিডিওটি ভারতেরই একটি অভয়ারণ্যের, কিন্তু, ঠিক কোথাকার তা তিনি জানাননি। ভিডিওটি তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কেন হঠাৎ ওই বাঘটি অপর বাঘটিকে আক্রমণ করল, সেই সম্পর্কেও তিনি কিছু জানাননি।

ভিডিও পূর্ণ বয়স্ক বাঘদুটিকে নাটকীয় কয়েক সেকেন্ডের তীব্র লড়াইতে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। প্রথমে তারা দুজনেই সামনের ভারী থাবা ছোঁড়ে একে অপরের দিকে, তারপরই দ্রুত পিছনের পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আরও দ্রুত থাবা চালাতে থাকে। কয়েক সেকেন্ড পরই হামলাকারী বাঘটিকে ধীর পায়ে ঘন জঙ্গলের দিকে চলে যেতে দেখা যায়। আর অপর বাঘটিকে মাটিতে সমর্পণের ভঙ্গিতে বসে হাঁপাতে দেখা যায়। আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানালেও বাঘ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত শক্তি প্রদর্শনের জন্য বাঘদের মধ্যে এই ধরণের লড়াই দেখা যায়। নিচু হয়ে বসে থাকা বাঘটি শরীরি ভাষায় হামলাকারীর পরাক্রম স্বীকার করে নিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকজন ওই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে সাফারিতে ব্যবহৃত জিপগুলি অনাবৃত রাখা বিপজ্জনক। কারণ এই ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে, কোনও অভয়ারণ্যে বন্য প্রাণীরা কতটা আচমকা আক্রমণ করতে পারে। এই ধরণের হামলার শিকার পর্যটকরাও গতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে নেটিজেনদেরই আরেকটি অংশ বলেছে, পশুরা মানুষের মতো আচরণ করে না। শুধুমাত্র দুটি পরিস্থিতিতেই তারা হামলা করে - ১. যখন ক্ষুধার্ত থাকে, ২. যখন তারা মনে করে বিপদে পড়েছে। তাদের না উসকালে তারা কখনই আক্রমণ করবে না, কাজেই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

 

Share this article
click me!