বিশাখাপত্তনমের কারখানায় নতুন করে গ্যাস লিকের আতঙ্ক, এলজি পলিমার্স বন্ধের দাবি স্থানীয়দের

  • বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিক
  • ২৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক
  • অসুস্থদের সকলের চিকিৎসা হবে নিরখরচায়
  • এর মধ্যেই নতুন করে গ্যাস লিকের আতঙ্ক এলাকায়

Asianet News Bangla | Published : May 8, 2020 4:23 AM IST / Updated: May 08 2020, 10:40 AM IST

বৃহস্পতিবার ভোরে এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়ার রাসায়নিক কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস কেড়ে নিয়েছে ১১টি প্রাণ। আরআর ভেঙ্কটপুরম গ্রাম জুড়ে এখনও কাটেনি সেই আতঙ্ক। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে শুরু করেছে বলে রটে যায়। যদিও শুক্রবার সকালে এই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে বিশাখাপত্তনম পুলিশ।সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীদের সরানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

গ্যাস লিক হওয়ার ২ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী সমস্ত মানুষকে সরাতে হবে। প্রশাসনেক তরফে বৃহস্পতিবার রাতেই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে নতুন করে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বাস দিয়েছেন বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার আরকে মীনা। 

পুলিশ কমিশনার জানান, " সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই রাসায়নিক কারখানার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। ২ কিলোমিটারের বাইরে যার রয়েছেন তাঁদের বাইরে বেরিয়ে আসার দরকার নেই। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।"

এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস নির্গমণের ফলে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ২৫ জন। তবে শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ অসুস্থ ব্যক্তিই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্ধ্র মেজিক্যাল কলেজের প্রধান পিভি সুধাকর। 

গ্যাস লিকের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই কিং জর্জ হাসপাতালে আহতের দেখতে যান অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। সেদিনই তিনি মৃতদের পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেন। ভেন্টিলেশনে থাকা অসুস্থরা পাবেন ১০ লক্ষ। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি সকলের চিকিৎসা যাতে বিনামূল্যে হয় তার জন্য আরোগ্য ট্রাস্টকে নির্দেশ দিয়েছেন জগন। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থরাও এই সুবিধা পাবেন। এদিকে তাঁদের নিরাপত্তার কারণে আরআর ভেঙ্কটপুরমে অবস্থিত এলজি পলিমার্সের কারখানাটি যাতে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। 

Share this article
click me!