মদ্যপ অবস্থায় কুতুব মিনারে ধাক্কা, লকডাউনে মদ বিক্রি শুরু হতেই দিল্লিতে চরম অঘটন

লকডাউনেও দুর্ঘটনা

কুতুব মিনারে গাড়ির ধাক্কা

চালক মদ্যপ ছিলেন

গাড়িতে আগুন ধরে যায়

amartya lahiri | Published : May 6, 2020 2:49 PM IST

সোমবার থেকেই লকডাউনের তৃতীয় দফায় ভারতে মদ বিক্রি শুরু হয়েছে। আর প্রথম দিনই রাজধানি দিল্লি-তে চরম অঘটন ঘটে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই দিন ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ ৩১ বছরের এক ব্যক্তি সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় কুতুব মিনারের প্রাচীরে গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। এতটাই জোরে সে ধাক্কা মেরেছিল, যে তার গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত প্রাচীন সৌধটির প্রাচীরের প্রায় ৫০ মিটার মতো এলাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা গিয়েছে এই ঘটনায় ওই মদ্যপ চালকের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ছিল। জ্বলন্ত গাড়িতেই বেহুশ অবস্থায় পড়েছিল সে। সেই সময় কুতুব মিনারের গেটে পাহারায় ছিলেন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ অর্থাৎ এএসআই-এর ​​এক রক্ষী। তিনিই অরুন চৌহান নামে ওই চালককে গাড়ি থেকে বের করে আনেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটে জ্বলন্ত গাড়িটিতে।

অভিযুক্ত ওই মদ্যপ চালক অবশ্য এই ঘটনায় সামান্যই আঘাত পেয়েছে। পুলিশ তাকে দ্রুত সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। পরে চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে দুর্ঘটনাস্থলে এসে দমকল গাড়িটির আগুন নেভায়।

বুধবার, এএসআই অরুন চৌহানের বিরুদ্ধে স্মৃতিস্তম্ভটির প্রাচীরের ক্ষতি করার জন্য তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। ভারতীয় দন্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। এএসআই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং তাকে অবশ্যই ওই ঐতিহ্যবাহী স্থানের ক্ষতির সমান অঙ্কের জন্য জরিমানা দিতে হবে বলে দাবি করেছে। ইতিমধ্যেই এএসআই-এর একটি দল ওই প্রাচীরের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণ করেছে। তারা পুলিশকে অনুরোধ করেছে, যাতে স্মৃতিস্তম্ভের বাইরে থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে এই ঘটনা ভারতে লকডাউন বিধির মধ্যে বড় ফাঁক প্রকাশ করে দিয়েছে বলে মনে করচেন অনেকে। করোনভাইরাস মহামারি ঠেকাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেই সময় গাড়ি  নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ারই কথা নয়। তারপরেও সে কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে অত জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল, কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেই প্রশ্ন উঠছে। সেইসঙ্গে, সোমবারের আগে মদ বিক্রিও বন্ধ ছিল। তার আগের ভোরেই সে কোথা থেকে মদ পেল সেই বিষয়েও ধন্দ রয়েছে।

 

Share this article
click me!