
India Pak DGMO: গত ২২ এপ্রিলের পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাক সম্পর্ক। চলছে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এরই মধ্যে আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। শুধু তাই নয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনায় এবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO)।
সরকারি সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে ভারতের সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্সের অফিসার অর্থাৎ ডিজিএমও রাজীব ঘাই ও পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লার সঙ্গে কথা হবে হট লাইনে। তার আগে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরেছেন ডিজিএমও রাজীব ঘাই। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্থল, নৌ, বায়ুসেনার প্রধানরা।
জানা গিয়েছে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহানের নেতৃত্বে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়। এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা 'ANI' সূত্রে খবর, সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ভারতীয় সেনার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে। সরকারি সূত্রে খবর, গত শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের তরফে DGMO ফোনে কথা বলে ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতায় আসে। সেদিনই ফোনে কথা হয় রাজীব ও কাশেফের।
DGMO-এর কাজ কী?
জানা গিয়েছে, এই ডিজিএমও হল ভারতীয় সেনার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। এই DGMO হল দেশের তিন বাহিনীর প্রধানের কাছে যে কোনও বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকেন। শুধু তাই নয়, দেশের সীমান্তে সেনার অভিযান ও বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকেন এই ডিজিএমও। এবং বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিীর ডিজিএমও-দের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা বা যোগাযোগ রেখে কাজ করেন এই ডিজিএম। সরকারি সূত্রে খবর, শনিবারই যুদ্ধ বিরতি নিয়ে ভারতের DGMO-র সঙ্গে হট লাইনে কথা বলেন পাকিস্তানের ডিজিএমও। তারপরই দুই দেশের তরফে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সমঝোতায় আসা হয়।
কারণ, কোনও দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নামলে সেনা ও অন্যান্। বহিনী কীভাবে কাজ করবে তার অভিযান বাস্তবায়ন, রূপরেখা পরিকল্পনা সমস্ত কিছুর দায়িত্বে থাকেন এই ডিজিএমও। এছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্য সমস্ত শাখা ও সরকারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে এই ভারতের এই DGMO। কারণ, সেনার সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র রক্ষা করাই হল ডিজিএমের কাজ। তবে মূলত দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে নিবিড় সংযোগ বজায় রাখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার আলোচনা ডিজিএমও স্তরেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ, রাজনৈতিক নয়, সামরিক বিভাগই দুই দেশের সংঘাতের পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। সোমবারের আলোচনাতেও ডিজিএমও ছাড়া কেউ থাকছেন না বলে জানা গিয়েছে। কারণ, এই ডিজিএমও-দের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন দেশের ডিজিএমও-র কথা হয়। কোনও দেশের সংঘাত পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে সামাল দেওয়ায় হল তাঁদের প্রধান কাজ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।