ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, চিদম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন অমিত শাহকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল সিবিআই

  • মুখোমুখি চিদম্বরম-অমিত শাহ
  • ফের ইতিহাসের পুনরাবৃ্ত্তি
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন শাহের বিরুদ্ধে সিবিআই
  • আজ শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, চিদম্বরমকে খুঁজছে সিবিআই
     

debojyoti AN | Published : Aug 21, 2019 12:09 PM IST / Updated: Aug 21 2019, 05:44 PM IST

এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। এক সময় চিদম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন অমিত শাহকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল সিবিআই। তখন ঠিক কী ঘটেছিল রাজধানীর 
রাজনীতিতে ?

রক্ষাকবচ না থাকায় আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় যেকোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। একাধিকবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে কড়া নাড়ছে সিবিআই, ইডি। স্বস্তি তো দূর কংগ্রেস নেতার চিন্তা বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। আপাতত শুক্রবারের আগে চিদম্বরমের জামিন মামলার শুনানি হচ্ছে না। সেকারণে সিবিআই, ইডি থেকে আপাতত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। 

ঘটনার পর থেকেই চিদম্বরমের এই পরিস্থিতির জন্য় বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেস। সিবিআই, ইডির বার বার চিদম্বরমের বাড়ি যাওয়ার ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মন্তব্য় করেছে কংগ্রেস। দেশের রাজনৈতিক অতীত বলছে,অতীতে একই ঘটনার স্বাক্ষী থেকেছে দেশ। সেবার গুজরাতের তৎকালীন মন্ত্রী আমিত শাহকে গ্রেফতারের জন্য় খুঁজে বেড়াচ্ছিল সিবিআই। সেই সময় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। ২০০৯ সালে সোহরাবুদ্দিন সাজানো সংঘর্ষ মামলায় আমিত শাহকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল সিবিআই। পরে ২০১০ সালে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় অমিত শাহকে। 

আরও পড়ুন : শুক্রবারের আগে নিস্তারের আশাই নেই, দুঁদে আইনজীবীদের দলেও লাভ হল না চিদম্বরমের

গুজরাত হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে শাহের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। যার বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। গেরুয়া ব্রিগেড অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেইরাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে কংগ্রেস। ২০১০ সালে ইউপিএ-র আমলে মনমোহন সিংয়ের ক্য়াবিনেটে অর্থমন্ত্রক ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছিলেন চিদম্বরম। এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন অমিত শাহ। চিদম্বরম কেবলই এক কংগ্রেসি নেতা। নতুন করে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তল্লাশি শুরু হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে উঠেছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। যদিও বিজেপির দাবি , পুরো বিষয়টাই আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। সেকারণে এর মধ্য়ে বিজেপির যোগ খুঁজে পাওয়া মুর্খামি। 
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবারই আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি সুনীল গউর রায়ে বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমই আইএনএক্স মিডিয়া আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার ‘কিংপিন’—অর্থাৎ প্রধান ষড়যন্ত্রী। এরপর থেকেই দফায় দফায় চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় সিবিআই, ইডি।

Share this article
click me!