দশদিন তিহার জেলে ছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ, ছিল হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

  • এই বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • একসময় তিনি দিল্লির জেএনইউ-এর ছাত্র ছিলেন
  • সেই সময় এক প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় পুলিশ তাঁকে তিহার জেলে বন্দি করেছিল
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন অভিজিৎ

 

amartya lahiri | Published : Oct 15, 2019 2:51 PM IST

দেশবাসীকে গর্বিত করেছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের দ্বিতীয় অর্থনীতিবিদ হিসেবে অমর্ত্য সেনের পর নোবেল জিতেছেন তিনি। তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই একসময় ১০ দিন মতো তাঁকে কাটাতে হয়েছিল তিহার জেলেও। বিরুদ্ধে ছিল হত্যার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ।

অভিজিতের পড়াশোনার শুরুটা হয়েছিল কলকাতায়। তবে উচ্চতর শিক্ষার জনব্য স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে চলে গিয়েছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে ছাত্ররা আর কোনও রকম রাজনৈতিক প্রতিবাদে সামিল না হতে পারেন, তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সদ্য নোবেলজয়ীও কিন্তু জেএনইউ-এ থাকাকালীন প্রতিবাদীই ছিলেন।

২০১৬ সালে কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে গ্রেফতার হওয়ার সময়ই এই তথ্য জানিয়েছিলেন অভিজিৎ। ১৯৮৩ সালে একইভাবে প্রতিবাদী ভূমিকা নেওয়ার গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎকালীন ছাত্রক সংসদের সবাপতিকে বহিষ্কার করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন অভিজিৎ ও তাঁর সহপাঠীরা।

ভর্তির ক্ষেত্রে গ্রামীন এলাকার ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্র সংসদের। কানহাইয়ারা গ্রেফতার হওয়ার পর অভিজিৎ জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিয়োগ না থাকলেও উপাচার্যকে ঘেরাও করার অপরাধে হত্য়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল।

পরবর্তীকালে সেই সব অভিযোগই প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও, ১০ দিন মতো তাঁদের থাকতে হয়েছিল তিহার জেলে। এখানেই শেষ নয়, জেলে নিয়ে গিয়ে তাদের বেধারক পেটানোও হয়েছিল। বিশ্বখ্যাত এই অর্থনীতিবিদের মতে এখনকার মতোই তখনকার কংগ্রেস সরকার ও বামমনস্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ছাত্রদের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। ২০১৬ সালেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টাটা একেবারেই কাম্য নয়।

এবার তিনি নোবেল জয়ের পর তাঁকে নিয়ে ফাঁকা গর্ব অনুভবই করা হবে, না তাঁর অনুভবকেও মর্যাদা দেওয়া হবে, সেটাই দেখার।

 

Share this article
click me!