২ মিনিট না ২ ঘণ্টা ধরে এর আগেও আটকেছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, জোর তর্জা নেটদুনিয়ায়, আসল সত্যটা কি

দেশের আইনসভার সর্বোচ্চ কর্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী। বলতে গেলে তিনি সাংবিধানিক প্রধান হিসাবেই দেশ পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপতি থাকলেও তিনি নিয়মতান্ত্রিক শাসক প্রধান। দেশের দেশের সর্বোচ্চ কর্তা হলেও সরকারি পরিচালনার ভার এবং দেশ ও জনতার ভালোমন্দের বিষয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতেই। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বূহ্যে ফাঁটল মানে দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত বলেই মনে করছেন অনেকে।  

Web Desk - ANB | Published : Jan 6, 2022 12:54 PM IST / Updated: Jan 06 2022, 06:49 PM IST

বুধবার পঞ্জাবে ২০মিনিট ধরে অবরোধের মুখে পড়ে থমকে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের চাকা। এই নিয়ে এখন তুলকালাম পরিস্থিতি দেশজুড়ে। এহেন অবস্থায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আর একটি বিষয়ে। আর সেটি হল যে এর আগেও কি দুই ঘণ্টার মতো ট্রাফিকের ভিড়ে আটকে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়? যদিও যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২ ঘণ্টা নয় ২ মিনিটের মতো আটকে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের চাকা। যার জেরে কিছু পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও হতে হয়েছিল। 

২০ মিনিট ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনার পরই আলোচনায় চলে এসেছিল যে এর আগে কবে মোদীর কনভয় এভাবে আটকে পড়েছিল। জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যম দাবি করে যে এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে ট্রাফিক গার্ডদের ভুলে ২ ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন যোগী। ২ ঘণ্টা ধরে উত্তরপ্রদেশে ট্রাফিকে আটকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী- এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। সোশ্যালমিডিয়ায় সক্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত অংশুল সাক্সেনা এরপর এই নিয়ে টুইট করেন। তিনি এনডিটিভি-র একটি নিউজ ক্লিপ তুলে নিয়ে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দেখান ২ ঘণ্টা নয় ২ মিনিট ধরে আটকেছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। অংশুলের মতে সময়ের হিসাবে ২ মিনিট খুবই অল্প সময় এবং এই ঘটনার জেরে তৎক্ষণাতই সাসপেন্ড করা হয়েছিল অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের। প্রবল তৎপরতা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বূহ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণ করেছিল যোগী সরকার। তাঁর টুইটার পোস্টের মাধ্যমে এমনও দাবি করেছেন। অংশুলের অভিযোগ, পঞ্জাবের ঘটনাকে ছোট করে দেখানোর আছিলায় পুরনো একটি ঘটনাকে এভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এই নিয়ে সেই অভিযুক্ত জাতীয় সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় ২০ মিনিট ধরে আটকে থাকার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রাক্তন প্রধানমনমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। গোটা ঘটনাকে তিনি দূর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। 'দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রনায়কের নিরাপত্তায় কেন আমরা সচেতন হব না'- তাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই টুইটার পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন যে, 'অতিতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এই বিষয়ে ভাবা উচিত।'

 

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিং-এর নিরাপত্তাতেও ফাঁক বেরিয়েছিল। কেরলে সফরকালে মনমোহনের কনভয়কে ভুল রাস্তায় নিয়ে চলে গিয়েছিল কেরল পুলিশের পাইলট কার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এতে যুক্ত পুলিশকর্মীদের উপর সাসপেনশনের খাড়াও নেমেছিল।  
"

Share this article
click me!