গত অগাস্টে দলের সমালোচনা করে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন জি-২৩ নেতারা। এবার সেই বিদ্রোহী নেতাদেরই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই যে অধীর চৌধুরীকে, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে সরানো হবে, সেই খবর আগেই জানিয়েছিল এশিয়ানে নিউজ বাংলা। কিন্তু, অধীরের বদলে কে সেই পদে আসীন হবেন, সেই বিষয়টা তখনও স্পষ্ট ছিল না। তবে কি, এই পদ পাবেন রাহুল গান্ধী? কংগ্রেস দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীকে এই পদ দেওয়া হবে না। বরং এই পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, জি ২৩-র কয়েকজন নেতা, অর্থাৎ দলের কাজকর্মের সমালোচনা করে সনিয়া গান্ধীর কাছে বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন যে ২৩ জন নেতা, তারা।
১৯ জুলাই শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই, প্রয়োজনীয় অদলবদল করে নিতে চাইছে কংগ্রেস দল। সূত্রের দাবি, এই পদ পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, শশী থারুর ও মনীষ তিওয়ারি। বিবেচনা করা হচ্ছে গৌরব গগৈ, রজনীত সিং বিট্টু এবং উত্তম কুমার রেড্ডির নামও।
জি-২৩'এর কংগ্রেস নেতারা
এর মধ্যে শশী থারুর এবং মণীশ তিওয়ারি জি-২৩ নেতাদের অন্যতম। গত বছর, অগাস্ট মাসে, বিহার নির্বাচনের পর, দলের কর্মপন্থার কড়া সমালোচনা করে সনিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। যা নিয়ে দলের মধ্যে রীতিমতো ঝড় উঠে গিয়েছিল। অধীরের মতো গান্ধী পরিবার-ভক্তরা প্রকাশ্যেই সেই নেতাদের সমালোচনা করেছিলেন। বিভিন্ন দলীয় পদ থেকেও তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে অধীর চৌধুরীকে, কংগ্রেসের লোকসবার দলনেতার পদ থেকে অপসারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে। বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে, বিশেষ করে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তিনি একেবারেই সদ্ভাব রাখেন না, লোকসভাতেও অনেক সময় আলপটকা মন্তব্য করে দলকে বিপদে ফেলেথেন, সর্বোপরি পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি - সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অনেক। তবে অধীরকে উপরোক্ত কোনও কারণের জন্যই সরানো হচ্ছে না বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন - লক্ষ্য ২০২৪, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে সরছেন অধীর চৌধুরী, জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন - চাবকে ওর মানসিক রোগ ছাড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে', দেবাঞ্জন ইস্যুতে বিস্ফোরক অধীর
আরও পড়ুন - নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে হর্ষবর্ধনকে এ কী করলেন মোদী, ফাঁস করতে তোপ অধীরের
দলীয় সূত্রমতে, কংগ্রেস এখন 'ওয়ান ম্যান ওয়ান পোস্ট' বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর তার জন্য়ই লোকসভার দলনেতা পদ থেকে সরতে হচ্ছে অধীরকে। এতদিন লোকসভায় দলনেতার পাশাপাশি বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সবাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। লোকসভাকে সামনে রেখে সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছে কংগ্রেস। তাই, একটি পদ ছাড়তে হল অধীরকে।