আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাত পোহালেই নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আরও তিন দোষীর মত ফাঁসিতে চড়তে হবে তাঁর স্বামী অক্ষয় ঠাকুরকে। স্বামীর ফাঁসি পিছোতে একে একে সব রাস্তাই বন্ধ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফাঁসি আটকাতে বিহারের আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেছিলেন অক্ষয়ের স্ত্রী পুনিতাদেবী। কিন্তু সেই চেষ্টাও কাজে দেবে বুঝতে পেরে এবার আদালতে জ্ঞান হারালেন পুনিতা।
গত ২ বার নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির দিন ধার্য হলেও আইনি জটিলতায় শেষ মুহুর্তে তা ভেস্তে যায়। তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির আদালত ফের ফাঁসির দিন ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হওয়ার কথা মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, অক্ষয় ঠাকুর ও বিনয় শর্মার। এবারও ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ অপরাধী। কিন্তু কোনওটাই সেভাবে ধোপে টা টেকায় ময়দানে নেমেছিলেন অক্ষয়ের স্ত্রী পুনিতা। স্বামীর ফাঁসির আগেই তার ডিভোর্স চাই। এই মর্মে বিহারের অওরঙ্গাবাদের স্থানীয় আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। যুক্তি ছিল, আগামী দিনে একজন বিধবার পরিচয়ে তিনি বেঁচে থাকতে চা না। ১৯ মার্চ আদালত এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করলেও সেদিন আদালতে গড়হাজির ছিলেন অক্ষয়ের স্ত্রীয ফলে বিচারক মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৪ মার্চ করে দেন। সময় কিনতেই পুনিতা যে এই পন্থা নিয়েছেন তা মোটামুটি সকলের কাছেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়ল মুম্বইবাসীর, করোনার কারণে এবার লম্বা ছুটিতে যাচ্ছেন ডাব্বাওয়ালারা
আরও পড়ুন: বউকে লুকিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ইতালি ভ্রমণ, করোনার থাবায় ফাঁস হয়ে গেল সিক্রেট
এদিকে ফাঁসির আগের দিন তিহার জেলের পরিস্থিতি দেখতে যান অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট দীপক শর্মা ও জয় সিং। বৃহস্পতিবার ফাঁসি পিছনোর চেষ্টায় পবন গুপ্তার দায়ের করা কিউরিটিভ পিটিশনের আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনিদের মধ্যে তিন জনের পরিবার তাদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ দেখা করার জন্য তিহাড় জেলে ডেকে পাঠান হয়েছে অক্ষয় ঠাকুরের স্ত্রী ও বাবা-মাকে। এক একে সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বুঝতে পেরেই এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টের সামনে জ্ঞান হারান অক্ষয়ের স্ত্রী পুনিতাদেবী।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি খারিজ করার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অক্ষয়ের আইনজীবী।