তাঁর স্বামীকে যাঁরা হত্যা করেছে, তাঁদেরকেও মেরে ফেলতে হবে। এই দাবিতে ধর্নায় বসলেন হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে মৃত অন্যতম অভিযুক্ত চেন্নাকেশভুলুর স্ত্রী রেণুকা। তিনি নিজে এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ এবং তার পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল কুড়ি বছরের চেন্নাকেশভুলু। কয়েক মাস আগেই বিয়ে করেছিল সে। শুক্রবার সকালে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চেন্নাকেশভুলুরও।
প্রথমে রেণুকা নামে ওই মহিলা আর্জি জানান, তাঁর স্বামীকে যেখানে মারা হয়েছে সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকেও মেরে ফেলা হোক। সন্তানসম্ভবা রেণুকার দাবি, স্বামীর পর তাঁকে দেখার আর কেউ নেই। ফলে তাঁরও আর বেঁচে থাকার মানে হয় না।
অন্যদিকে আর এক অভিযুক্ত শিবার বাবা পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, 'অনেকেই ধর্ষণ এবং খুন করে। কিন্তু তাদেরকে তো এভাবে মারা হয় না। সবার ক্ষেত্রে একই শাস্তি হয় না কেন? জোল্লু শিবা পেশায় একজন ক্লিনার ছিল। তারও বয়স কুড়ি বছর। সেই সূত্রে মূল অভিযুক্ত আরিফের সঙ্গে তার পরিচায় হয়।
এনকাউন্টারে মৃত অন্যান্য অভিযুক্তদের পরিবারের মতো সরব হননি মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফের মা। কার্যত বাকরুদ্ধ ওই আরিফের মা বলেন. 'আমি শুধু বলতে পারি যে আমার সন্তান আর নেই।' আরিফের বাবা অবশ্য আগেই নিজের সন্তানের কঠোরতম শাস্তি চেয়েছেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তরা একেবারেই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। কিন্তু ইদানিং তাদের আয় ভালই হচ্ছি। কিন্তু অধিকাংশ টাকাই মদ খেয়ে এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করে এরা উড়িয়ে দিত।