লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ কর্মসূচী নির্ধারণ করা হবে এবং প্রায় ৪০০টি লোকসভা আসনে বিজেপি জোটের সামনে এই নতুন জোট থেকে শুধুমাত্র একজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো এবং ভোটের বিভাজন বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে।
কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের জড়ো করা শুরু হয়েছে। দুই দিনের এই কর্মসূচিতে প্রায় দুই ডজন দলের নেতারা অংশ নেবেন। এ বৈঠকে নতুন জোটের নাম ও জোটের সমন্বয়কের নামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে আসন বণ্টন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বলা হচ্ছে ২০২৪ সালে এই জোট UPA-এর বদলে নতুন নাম নিয়ে আসবে। বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক শুরুর আগেই জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে যে, বিরোধী জোটের নাম বদলে যেতে চলেছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল এই প্রসঙ্গে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়াও, লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ কর্মসূচী নির্ধারণ করা হবে এবং প্রায় ৪০০টি লোকসভা আসনে বিজেপি জোটের সামনে এই নতুন জোট থেকে শুধুমাত্র একজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো এবং ভোটের বিভাজন বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে।
২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে, ইউপিএ-১ এবং ইউপিএ-২ সরকারগুলি কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলে। সেই সরকারেও টিএমসি, আরজেডি, এনসিপি এবং ডিএমকে-র মতো দলগুলিকে মিত্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তখন ইউপিএ-র আহ্বায়ক ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এবারও জোটের নাম পরিবর্তন করে নতুন নেতাও নির্বাচন করা হবে বলে আলোচনা রয়েছে। এই জোটের আহ্বায়ক হিসেবে যে নেতার নাম সামনে রয়েছে তিনি হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এ ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের নামও আলোচনায় রয়েছে।
বিরোধী দলগুলো এজেন্ডা নির্ধারণ করবে
এই দুই দিনের বৈঠকে, বিরোধীরা তাদের সাধারণ কর্মসূচি, সাধারণ এজেন্ডা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নির্ধারণ করবে। সেসব বিষয়ের ভিত্তিতে বিরোধীরা আসন বণ্টন করবে। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা যেতে পারে। এই কমিটি সমাবেশ, সম্মেলন ও আন্দোলনের ভূমিকা নির্ধারণ করবে। বৈঠক শেষে ১৮ জুলাই একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে এই বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জনসমক্ষে জানানো হবে।
রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব, হেমন্ত সোরেন, উদ্ধব ঠাকরে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এম কে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন, অখিলেশ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। অন্যদিকে, মঙ্গলবার NDA-এর বৈঠকও হওয়ার কথা।