কলকাতার প্রথম করোনারোগী যুবকের রোগ গোপন রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তা গোপন রেখেছিলেন রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক হাইপ্রোফাইল আমলা, ওই যুবকের মা। আর সে কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্য়ে। খোদ মুখ্য়মন্ত্রীও ওই ঘটনায় তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ওই মহিলা আধিকারিককে কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। তবে প্রায়ই একইরকম এক ঘটনায় সাসপেন্ড হতে হয়েছে বেঙ্গালুরুর এক রেল আধিকারিক মহিলাকে। ছেলের অসুখ লুকিয়ে রাখার কারণে তাঁকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই রেল আধিকারিক মহিলার বছর পঁচিশের ছেলে জার্মানি ও বিশেষ করে ইতালির মতো করোনা আক্রান্ত দেশ ঘুরে এসেছিলেন। জানা যায়, এই পরিস্থিতিতে ছেলের রোগের কথা গোপন করেন ওই আধিকারিক। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ভরতি করার বদলে রেল আবাসনের কাছেপিঠের একটি গেস্ট হাউজে তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। অন্তত দক্ষিণ পশ্চিম রেলের তরফে তেমনটাই জানানো হয়েছে। এর ফলে ওই যুবকের থেকে অন্য়দের মধ্য়েও রোগ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে, ছেলের অসুখ গোপন করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের ওই পদস্থ আধিকারিককে।
যদিও খবর পাওয়ার পর ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আর এই খবর জানাজানি হওয়ার পর নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, ওখানে যদি রেল তার পদস্থ কর্ত্রীকে সাসপেন্ড করতে পারে, তাহলে এখানে নবান্ন কেন ওই আমলার বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থা নিচ্ছে না।