চন্দ্রযান-৩, গগনযান-এর সঙ্গে আরও এক চমক, প্রথম দিনই শিবন বোঝালেন এটা ইসরো-র বছর

Published : Jan 01, 2020, 02:14 PM ISTUpdated : Jan 01, 2020, 02:21 PM IST
চন্দ্রযান-৩, গগনযান-এর সঙ্গে আরও এক চমক, প্রথম দিনই শিবন বোঝালেন এটা ইসরো-র বছর

সংক্ষিপ্ত

২০১৯ সাল ইসরোর জন্য অত্যন্ত সফল এক বছর পরের বছরের পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন শিবন তাতে চন্দ্রযান-৩, গগনযানের পাশাপাশি রয়েছে আরও এক চমক তার জন্য ইতিমধ্য়েই কাজ শুরু হয়েছে  

২০১৯ সাল ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক মাইলফলক সৃষ্টিকারী বছর ছিল। শুধু চন্দ্রযান ২ অভিযানই নয়, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে  ভারতবাসীর মনে দারুণ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনই সেই কৌতূহলকে উসকে দিয়ে আরও বড় ঘোষণা করলেন ইসরো প্রধান কে শিবন। বুধবার  তিনি জানান, ২০২০ হতে চলেছে 'চন্দ্রযাণ-৩' এবং ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান 'গগনযান'-এর বছর।

এদিন ইসরো-র সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কে শিবন এই বছরের ইসরোর রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। চন্দ্রযান-৩ চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে শুরু হয়ে গেলেও এদিনই তিনি এই অভিযানের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন। ফের একবার চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে জটিল অবতরণের সমস্যার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরো। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে চন্দ্রযাণ-৩ মহাকাশযান। চন্দ্রযান-২'এর অরবাইটর এখনও তিন বছর অবধি কাজ করতে পারবে। তাই চন্দ্রযান-৩'এর ক্ষেত্রে আর কোনও অরবাইটর পাঠানো হবে না। থাকবে শুধু ল্যান্ডার এবং রোভার অংশ। আর তাদের পরিচালনার জন্য কাজে লাগানো হবে চন্দ্রযান-২'এর অরবাইটরের বিভিন্ন সেন্সর-কে।

শিবন এদিন গগনাযান অভিযানের বিশদ পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন। আগেই ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্যদের মধ্য থেকে নভোশ্চর বাছাই-এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এদিন শিবন জানিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়ার শেষে বায়ুসেনার চার সদস্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই রাশিয়ায় তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। শিবন জানান, গগনযান অভিযানের আগে বেশ কিছু সিস্টেমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা  করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রোপালশন মডিউল সিস্টেম, ক্রু এসকেপ সিস্টেম-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এছাড়াও মহাকাশ অভিযান আরও এগিয়ে যেতে ইসরোর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই তামিলনাড়ুর থুতুকুড়ি-তে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। কে শিবন জানিয়েছেন, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহারিকোটায় এখন যে স্পেস পোর্টটি রয়েছে, সেখানে দিন দিন দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে। তার জন্য একটি পৃথক গ্যালারী তৈরি করতে হয়েছে। একইসঙ্গে ইসরো এই দশকে মহাকাশ অভিযানের সংখ্যা আরও বাড়াতে চলেছে। তাই দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দরের প্রয়োজন পড়েছে।

২০১৯ বছরটি মোটের উপর ইসরো-র জন্য একটি সফল বছরই বলা চলে। ৩১৯টি বিদেশী উপগ্রহ মহাকাশে সঠিক কক্ষপথেপৌঁছে দিয়েছে। চন্দ্রযাণ-৩ অভিযান, হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার স্থাপন-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তরুণ বিজ্ঞানী প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। প্রথম মানব মিশনের জন্য ভারতীয় নভোশ্চরদের বাছাই এবং প্রশিক্ষণের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সাফল্যের কাহিনীতে একফোটা চোনার মতো রয়েছে শুধু চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডার বিক্রমের ভেঙে পড়া।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি