উত্তেজক পোষাকে রুশ সুন্দরী
মদ ঢেলে দিচ্ছে সাংসদের মুখে
এরকমই একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে
এই বিষয়ে সংসদ কী বললেন
ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলে থেকেও তিনি বিদ্রোহী। প্রায়শই নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন তিনি। প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকাটা একেবারে পাকা করে ফেলেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার নারসাপুরামের সাংসদ রঘুরাম কৃষ্ণ রাজু। এবার তাঁর একটি চরম অস্বস্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরল হল। তা নিয়েও অবশ্য বেপরোয়া এই ডাকসাইটে সাংসদ।
সেই ভাইরাল ছবিতে ভারতের এই সংসদ সদস্যকে উত্তেজক পোষাক পরা এক রুশ সুন্দরীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে। রুশ সুন্দরী ঘনিষ্ঠ হয়ে সাংসদের মুখে বোতল থেকে সরাসরি শ্যাম্পেন ঢেলে দিতে দেখা যায়। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও, অনেকেই সেটি 'মর্ফড' অর্থাৎ সফটওয়্যারের কারিকুরিতে তৈরি করা বলে ধরে নিয়েছিলেন। ছবিটি অবশ্যই সাংসদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। কিন্তু রাজু-র তাতে কোনও পরোয়া নেই।
সংবাদমাধ্যমের সামনে এই সাংসদ স্বীকার করে নিয়েছেন, এটি সত্যি সত্যি তাঁরই ছবি। ওই রুশ সুন্দরী একজন নর্তকী। তাঁর হাত থেকে তিনি পানীয় উপভোগ করছেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, 'তাতে হয়েছে টা কী?' তাঁর যুক্তি ক্রিকেটার থেকে ফিল্ম সেলিব্রিটিরা - অনেকেই শ্যাম্পেন পান করেন। পাবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রুশ মহিলাদের হাত থেকে অতিথিদের পানীয় গ্রহণ করাটা 'খুব সাধারণ বিষয়' বলেই দাবি করেছেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনও মহিলার সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেননি বা পার্টিতে কোনও অশালীন আচরণ করেননি। কাজেই ছবিটিতে কোনও ভুল তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।
নারসাপুরমের সাংসদ জানিয়েছেন, এই ছবিটি প্রায় তিন বছরের পুরনো। ওয়াইএসআর কংগ্রেস-এরই কোনও সাংসদের ছেলের দেওয়া পার্টিতে তোলা হয়েছিল। ওই পার্টিতে তিনি ছাড়াও দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে সেই পার্টি হায়দরাবাদে না কলকাতায় হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে জানাতে পরেননি রাজু। তাঁর দাবি ছবিটি তাঁর অজান্তে তোলো হয়েছিল। তাঁর সন্দেহ দলেরই কোনও নেতা, তাঁকে ট্রোল করার জন্য ওই ছবিটি তুলে এখন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিয়েছে।
সাংসদ নিজে কোনও ভুল দেখতে না পেলেও, তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রের জনতার মত কিন্তু অন্যরকম। তাঁরা বলছেন সাংসদ হিসাবে ঠিক করেননি রঘুরাম কৃষ্ণ রাজু। নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে নৈতিক বিষয় নিয়েও তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। রাম গোপাল ভার্মার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন চলচ্চিত্র পরিচালক প্রকাশ্যে মদ এবং মহিলাদের নিয়ে ছবি দেখাতে পারেন। কিন্তু, একজন সাংসদ তা করতে পারেন না।