জন্ম দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবরের আগেই রাষ্ট্র সংঘে ঐতিহাসিরভাবে উপস্থিত হলেন মহাত্মা গান্ধী। ভারতের জাতির জনক গান্ধীকে স্মরণ করার জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাষ্ট্র সংঘ। সেখানেই হলোগ্রামে মাধ্যমে উপস্থিত হন গান্ধীজি। আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে শিক্ষার মূল্য সম্পর্কে বক্তৃতাও করেন তিনি।
জন্ম দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবরের আগেই রাষ্ট্র সংঘে ঐতিহাসিরভাবে উপস্থিত হলেন মহাত্মা গান্ধী। ভারতের জাতির জনক গান্ধীকে স্মরণ করার জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাষ্ট্র সংঘ। সেখানেই হলোগ্রামে মাধ্যমে উপস্থিত হন গান্ধীজি। আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে শিক্ষার মূল্য সম্পর্কে বক্তৃতাও করেন তিনি।
২০০৭ সালের জুন মাসে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি শিক্ষা ও জন সচেতনতার মাধ্যমে অহিংসার বার্তা প্রচার করার জন্যই বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের একটি প্যানেল আলোচনার সময় গান্ধীদের লাইফ হলোগ্রাম আকারে প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল রাষ্ট্র সংঘের সদরদফতর নিউইয়র্কে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল ইউনেস্কো মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউ অব এডুকেশন র পিস অ্যান্ড সাসটেইনেবেল ডেভেলপমেন্ট ও রাষ্ট্র সংঘে ভারতের স্থায়ী মিশন। এই অনুষ্ঠানের একটি ছবিও পোস্ট করেন রাষ্ট্র সংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজ। তিনি টুইট করে বলেন মহাত্মা গান্ধীর একটি লাইফ-সাইজ হলোগ্রাম সমন্বিত আন্তর্জাতিক দিবসের অহিংসার স্মরণে ২জন অহিংসা দিবস পালন করা হচ্ছে। অহিংসা বক্তৃতার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গান্ধীজির জন্মদিনে বিশেষ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মানবিকতা বিকাশের জন্য শিক্ষা। এটি পরিচালনা করেন ইউনেস্কো এইজিআইইপি প্রধান অনন্ত দুরাইপ্পা । আটলান্টার কিং সেন্টারের সিইও বার্নিস কিং, রাষ্ট্র সংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কম্বোজ ও ইন্দোনেশিয়ার রাজকরুমারি হায়ু। হায়ু ডিজিটাল শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য কাজ করছেন।
গান্ধীজির হলোগ্রাম প্যানেল আলোচনা জুড়ে তিনবার প্রদর্শন করা হয়। দাঁড়িয়ে ও বসে থেকে হলোগ্রামের মাধ্যমে গান্ধীজিকে শিক্ষা সম্পর্কে বার্তা দিতে দেখা গেছে।
এই অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা গেছে 'সাক্ষরতা শিক্ষার শেষ বা শুরু নয়। শিক্ষা বলতে আমি বোঝাতে চাইছে শিশু, মানুষ ,শরীর, মন , আত্মার মধ্যে সর্বোত্তম একটি পরিধি। আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ বলতে আমি হৃদয়ের শিক্ষা বলতে চাইছি।' এই অনুষ্ঠানে তাঁর কণ্ঠে শোনা গেছে 'আমরা শেযারবাজার, জমি বা শেয়ার মূল্য যেভাবে মূল্যায়ন করি সেভাবে আমরা শিক্ষার মূল্য নির্ধারণ করি। আমরা শুধুমাত্র এমন শিক্ষা চাই যা শিক্ষার্থীকে আরও বেশি উপার্জন করতে সক্ষম করে।' এই অনুষ্ঠানেই গান্ধীজির মুখ দিয়ে তাঁরই কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে শিক্ষিতদের চরিত্রের উন্নতিরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেই দিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। স্কুল কলেজ গুলি সরকারি কেরানি তৈরির কারখানা তৈরি হয়েছে। আসল শিক্ষা হল নিজের থেকে সেরাটা বের করে আনা। এরথেকে ভাল কিছু হয় না। বই পড়ে সবকিছু হয় না। মানবতার দিকেও তাকাতে হবে।
২০১৯ সালে MGIEP হায়দরাবাদের মহাত্মা গান্ধী ডিজিটাল মিউজিয়ামের পরিচালক বিরাদ ইয়াজনিকের সাথে গান্ধীর একটি হলোগ্রামের সাথে একটি সংলাপ তৈরি করতে সহযোগিতা করে। এটি ছিল 4k-এ গান্ধী হলোগ্রামের দ্বিতীয় সংস্করণ।