আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় ১০০ শিশুর মৃত্যুতে রক্তাক্ত কাবুল, শিক্ষক বললেন 'ছিন্নভিন্ন হাত-পা জড়ো করছি '

শিক্ষাকেন্দ্রে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শুক্রবার ব্যস্ত সময়ই একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। সেই সময় কমপক্ষে ১০০ শিশু নিহত হয়েছে। যে স্কুলে হামলা হয়েছে সেই স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে। হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে শিশুদের দেহ। সেগুলি তুলে জড়ো করছেন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররাই।

Saborni Mitra | Published : Sep 30, 2022 10:39 AM IST

শিক্ষাকেন্দ্রে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শুক্রবার ব্যস্ত সময়ই একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। সেই সময় কমপক্ষে ১০০ শিশু নিহত হয়েছে। যে স্কুলে হামলা হয়েছে সেই স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে। হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে শিশুদের দেহ। সেগুলি তুলে জড়ো করছেন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররাই। 

স্থানীয় একটি সংবাদপত্র টুইট করে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১০০টি মৃতদেহ গণনা করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ছাত্রের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলেও জানিয়েছে। একটি স্কুল  মক প্রবেশিকা পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আসল পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল। সেই সময়ই হামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি। স

কাবুল পুলিশের প্রধান ও তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্চানের রাজধানীর একটি শিয়া একালায় এই আত্মঘাতী জঙ্গি হানা হয়েছে। বোমায় ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৭। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি টাকোর টুইট করেছেন, "'কাজ' নামক একটি শিক্ষা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে, যা দুর্ভাগ্যবশত মৃত্যু ও আহত হয়েছে।"

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কাজ এডুকেশন সেন্টারে এই হামলা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা আর প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তবে এখনও পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। 

গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবানরা। জানা জানিয়েছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য । কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তানেপ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওই দেশে অশান্তি লেগেই রয়েছে। একের পর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটনা। প্রশাসন প্রায় নীরব থাকছে। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। 

অন্যদিকে কয়েক মাস আগেই , সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, তালিবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ধর্মীয় নেতা শেখ হাক্কানিকে ছক কষে হত্য়া করা হয়েছে। মূলত তাঁকেই টার্গেট করা হয়েছিল। টার্গেট করেছিল এক ব্যক্তি যা একটি পা নেই। কৃত্রিম পায়ের প্ল্যাস্টিকে বেঁধে বোমা নিয়ে এসেছিল স্কুলে। আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্টী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এক আগে আফগান ধর্মগুরু রবিমুল্লাহ হাক্কানিকে খুন করার জন্য টার্গেট করেছিল ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা। তবে সেবার তারা সফল হয়নি। 

শেখ হাক্কানি ছিলেন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের সমর্থক এবং জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট কোহরাসান প্রদেশের (আইএস-কে) একজন বিশিষ্ট সমালোচক, আইএসের একটি আঞ্চলিক সহযোগী যারা আফগানিস্তানে কাজ করে এবং তালিবানের শাসনের বিরোধিতা করে। গত বছর তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশে নিহত হওয়া সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বদের একজন তিনি হয়ে যান। "এটি আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের জন্য একটি খুব বড় ক্ষতি," একজন সিনিয়র তালিবান কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হামলার পিছনে কারা ছিল তা তদন্ত করছে।

Share this article
click me!