আবারও জঙ্গি হানার রক্তাক্ত হল কাবুল। এবার জঙ্গিদের নিশানা ছিল একটি মাতৃসদন হাসপাতাল। আর সেই হাসপাতাল লক্ষ্য করেই নির্বিচারে গুলি চালায় তিন বন্দুকবাদ। যেখানে ভর্তি ছিল সদ্যোজাত ও দুধের শিশুরা। প্রায় একঘণ্টা ঘরে চলে গুলির লড়াই। হাসপাতালে দেওয়ালে এখনও লেগে রয়েছে রক্তের ছিটে। গুলির দাগও দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদী এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় রয়েছে দুটি সদ্যোজাত শিশু ও বেশ কয়েকজন মহিলা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ জন। হাসপাতালে নৃশংস হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করেনি।
এই দিনই অন্য একটি জঙ্গি হামলা ঘটনা ঘটেছে। এক অন্তেষ্টিক্রিয়ার মিছিলে এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালায়। বিস্ফোরণে ঠাসা জ্যাকেট পরেই চলে আসে মিছিলের মধ্যে। তারপরই উড়িয়ে দেয় নিজেকে। এই ঘটনায় ২৪ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। এই হামলার দায়ে স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটস।
অরও পড়ুনঃ চিনা বংশোদ্ভূত সাংবাদিকের সঙ্গে তুমুল তরজা, আচমকা সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করলেন ট্রাম্প ...
আরও পড়ুনঃ করোনা সংকটেই ফিরে এল ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি, দুলে উঠল পার্বত্য রাজ্য নেপাল ..
কাবুল প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে হাসপাতালে হামলা চলাকালীন প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিন বন্দুকবাজই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে বলেই প্রশাসন দাবি করেছে। তবে অন্য ঘটনায় তেমনই কিছু করার সময় পায়নি প্রশাসন। দেশের প্রধান আসরফ ঘানি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তালিবানদের পাশাপাশি ইসলামিক স্টেটসের জঙ্গিদেরও দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ তৈরি রয়েছে দেশের সেনা বাহিনী। এই জাতীয় হামলার ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিন তিনি।