আগুন লাগার পর ওই বহুতল থেকে ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে ওসাকার দমকল দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতসকালে অফিস শুরু হতেই বিপত্তি। আগুন (Fire) লাগল জাপানের (Japan) ওসাকার (Osaka) একটি বহুতলে (Commercial Building)। সেখানে আটকে অন্ততপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আগুন নেভাতে অন্তত পক্ষে দমকলের ৭০টি ইঞ্জিন (70 Fire Engines) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন লাগার পর ওই বহুতল থেকে ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে ওসাকার দমকল দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসাকার দমকল বিভাগের কর্মকর্তা আকিরা কিশিমোতো জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় অনুসারে ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০টা বেজে ১৮ মিনিট। খুলে গিয়েছে অফিস। ব্যস্ত রয়েছেন সবাই। ঠিক সেই সময় শহরের ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকার ওই ৯ তলা বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লাগে। বহুতল থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখেন পথ চলতি মানুষ। পাঁচতলায় কাউন্সেলিং এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্ত রোগীদের জন্য একটি ক্লিনিক (Clinic) রয়েছে। সেই ক্লিনিকেই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। এই বাণিজ্যিক এলাকাটি কিতাশিনছি রেল স্টেশনের (Kitashinchi Train Station) কাছেই অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী, ধোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে উগ্র গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। ওই বহুতলে একাধিক অফিস রয়েছে। তার মধ্যে একটি পোশাকের দোকান ও একটি স্কুলও রয়েছে। আগুন লাগার পর পাঁচতলায় জানলার ঠিক পাশে এক মহিলাকে দেখা যায়। সাহায্য চাইছিলেন তিনি। তীব্র ধোঁয়ার জেরে অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ওসাকার দমকল বিভাগে। ৭০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে কিছুটা হলেও বেগ পেতে হয় দমকলকে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল। জাপানের ওসাকা সাধারণত একটি বাণিজ্যিক শহর। সেখানে প্রচুর অফিস ও অন্যান্য সংস্থা রয়েছে। আর সাত সকালে অফিসের সময়ই আগুন লাগে ওই বহুতলে। তবে কী কারণে ওই বহুতলে আগুন লেগেছিল তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। সেই কারণ জানার চেষ্টা করছে ওসাকা পুলিশ।