করোনা মোকাবিলায় ভারতে চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন। আগামী ৩ মে পর্যন্ত গোটা দেশ জুড়ে এই লকডাউন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে রেল থেকে বিমান পরিষেবা, সাধারণ যাত্রীদের জন্য সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। চলছে না কোনও বাসও। লকডাউনের কারণে ভারতে আটকে পড়েছিলেন কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক। লকডাউনের আগেই বৈধ ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিলেন তাঁরা। সেই পাক নাগরিকদের এবার লকডাউনের মাঝেই দায়িত্ব নিয়ে ওয়াঘা সীমান্ত পার করিয়ে দিল ভারত সরকার।
ওষুধ দেওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন মোদী, ৫.৯ মিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য সহায়তা পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প
করোনা এবার অবতীর্ণ রাজনীতির মঞ্চেও, মারণ ভাইরাসে ভর করেই সাফল্য এল সংসদীয় নির্বাচনে
ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত চলবে লকডাউন, করোনা মোকাবিলায় সিদ্ধান্তের পথে রানির দেশ
কেউ এসেছিলেন তীর্থ করতে, আবার কেউ এসেছিলেন নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু গত ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ায় প্রায় দেড়শো জনের মত পাক নাগরিক আটকে পড়েন ভারতে। তাদের মধ্যে ৪১ জনকে বৃহস্পতিবার ওয়াঘা সীমান্ত পার করিয়ে লাহোরে পাঠাল ভারত সরকার। দেশে ফেরা পাক নাগরিকদের মধ্যে মুসলিম ছাড়াও রয়েছেন কয়েকজন শিখ ও হিন্দুও। এদেশে আটকে পড়া বাকি পাক নাগরিকদেরও দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে দিল্লি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পাক হাই কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেছে বিদেশমন্ত্রক।
এদিকে দেশে ফেরা পাক নাগরিকদের আপাতত লাহোরের জিন্নাহ হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। লকডাউনের কারণে পাকিস্তানেও আটকে পড়েছেন প্রায় ২০০ জন ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে প্রায় শতাঝিক কাশ্মীরি। তাদেরও দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের মত পাকিস্তানেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় এবার ভারতের দ্বারস্থ হল ইমরান প্রশাসন। শোনা যাচ্ছে, করোনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছে ইসলামাবাদ।