মার্কিন হামলায় খতম আল কায়দা প্রধান, বিবৃতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

 

  • অপারেশন কাসিম আল রিমি সফল
  • ইয়েমেন আল কায়দার প্রধানকে নিকেশ
  • নিকেশ করল মার্কিন বাহিনী
  • ট্যুইট করে বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

Asianet News Bangla | Published : Feb 7, 2020 5:38 AM IST / Updated: Feb 07 2020, 11:09 AM IST

ফের বড় সড় সাফল্য পেন্টাগনের।  ইসলামিক স্টেটের প্রধান আল বাগদাদির পর এবার মার্কিন সেনা খতম করল ইয়েমেন আল কায়দা প্রধান কাসিম আল রিমিকে। যিনি আবার পরিচিত ছিলেন জিহাদের বাদশা হিসাবে। ইয়েমেনের আল কায়দা প্রধানকে নিকেশ করার কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরব উপতদ্বীপে আল কায়দার মাথা ছিল এই কাসিম আল-রিমি। মার্কিন ড্রোন হামলায় আরব উপদ্বীপের প্রধান  নিহত হওয়ার পর এই দায়িত্ব পান রিমি। আল কায়দা প্রধান  জাওয়াহিরির যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন রিমি। আরব উপদ্বীপে আল কায়দাকে মোক্ষম শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা অনেকদিন ধরেই করছিল মার্কিন সেনা। ২০০৯ সালে আল কায়দার আরব উপদ্বীপ শাখার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সৌদি আরব এবং ইয়েমেন থেকে মার্কিন কথা পশ্চিমের দেশগুলির প্রভাব মুক্ত করাই ছিল এই শাখার লক্ষ্য। ইয়েমেন রাজনৈতির অস্থিরতা সৃষ্টির জন্যও দায়ী আলকায়দার এই শাখাটি।

গত ডিসেম্বরে ফ্লোরিডার পেনসাকোলার মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটিতে অকর্কিত হামলা চালায় আল কায়দা। যাতে প্রাণ যায় তিন মার্কিন সেনার। এই নাশকতার মূল মাথা ছিল কাসিম আল-রিমি। তারপর থেকেই প্রত্যাঘাতের সুযোগ খুঁজছিল আমেরিকা। 

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন পাসের পর আজ প্রথমবার অসমে মোদী, যোগ দেবেন বোড়োদের অনুষ্ঠানে

চলতি বছর জানুয়ারির শেষের দিকে আল রায়মির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ৩১ জানুয়ারি থেকেই কানাঘিষো শোনা যাচ্ছিল ইয়েমেন ফের আল কায়দা ঘাঁটিতে আঘাত হানে মার্কিন বাহিনী। কাসিম আল-রিমির খতম হওয়ার খবরও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে গত ২ ফেব্রুয়ারি আল রায়মির একটি অডিও বার্তা প্রকাশিত হয় যদিও এই অডিও বার্তা আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল বলে দাবি ওঠে। যদিও রিমির মৃত্যু নিয়ে প্রথমে কিছুই জানায়নি পেন্টাগন। পরে বিবৃতি দিয়ে খবরের সত্যতা স্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

আরও পড়ুন: শনিবার ভোট রাজধানীতে, তার আগেই ঘুষ নিতে গিয়ে সিবিআই জালে সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠ আধিকারিক

২০০৬ সালে ইয়েমেনর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জিহাদি কার্যকলাপ শুরু করেছিল কাসিম আর রিমি। ওসামা বিন লাদেনের পরে ইয়েমেনর প্রভাবশালী আল কায়দা নেতা আল আওলাকিকে মার্কিন বাহিনী খতম করার পরে  হাল ধরেছিল কাসিম। কাজ্ঞকিন বাহিনীর উপর একাধিক হামলা ও ইয়েমেনের নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। রিমিকে খতম করতে ২০১৭ সালে আরব উপদ্বীপে ১৩১ বার বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। ২০১৮ সালে সংখ্যা ছিল ৩৬। কিন্তু প্রতিবারই বেঁচে পালিয়ে যায় এই জঙ্গি নেতা।

Share this article
click me!