ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে প্রায় ৬,০০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। রয়টার্স জেলেনস্কির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে রাশিয়ান বিমানবাহী সেনা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ করেছে।
প্রত্যাঘাত করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সপ্তম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে প্রায় ৬,০০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। রয়টার্স জেলেনস্কির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে রাশিয়ান বিমানবাহী সেনা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ করেছে।
সিটি মেয়র জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গোলাগুলিতে অন্তত ২১ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। আগের দিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রথম স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে মূল্য দিতে হবে বলে দাবি করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আকাশসীমা থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করছে ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই। রুশ বাহিনী দক্ষিণে ওডেসা এবং মারিউপোলের বন্দর সহ অন্যান্য শহরগুলিতে আক্রমণ চালায়। রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই রাশিয়াকে একঘরে করতে প্রস্তুত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি আগেই তাদের আকাশসীমা রাশিয়ার জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল। কানাডাও এই একই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
এরই মধ্যে রাশিয়ান বাহিনী মঙ্গলবার খারকিভে তাদের আক্রমণ বাড়িয়েছে, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের সেন্ট্রাল স্কোয়ারে প্রধান টিভি টাওয়ারের বোমাবর্ষণ করেছে রুশ সেনা।
রাজধানী কিয়েভ (Kyiv) আর খারকিভে (Kharkiv) এখনও প্রবল যুদ্ধ চলছে বলেও দাবি করেছে রুশ সেনা। সেনার দাবি রাজধানী কিয়েভে একের পর সরকারি ভবন রুশ সেনার বোমা আর গুলির লড়াইয়ে প্রায় ভষ্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে এখনও রুশ সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে ইউক্রেনের সেনা বাহিনী।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রুশ সেনা বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে খারেসন অঞ্চল। তিনি আরও বলেছেন রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবতরণ করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও পাল্টা রুশ সেনাদের রুখে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে রুশ বিমানবাহিনীর সৈন্য অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। খারকিভ হল রুশ সীমান্তের কাছেই একটু রুশভাষী শহর। সেখানের জনসংখ্যা প্রায় ১.৪ মিলিয়ন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে যে তারা ১৩৬ জন মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করেছে। তবে বেসরকারি হিসেবে আরও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে তারা গত দুই দিনে জনবহুল শহরাঞ্চলে রাশিয়ার বিমান ও কামান হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পেয়েছে।