
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) মঙ্গলবার রাতে ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের আগ্রাসনের প্রতিবাদ বা বিরোধিতা করার জন্য রুশ বিমানের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে মার্কিন আকাশসীমা (airspace)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্টেট অব দ্যা ইউনিয়নের ভাষণ দেওয়ার সময় এই কথা ঘোষণা করেছেন।
রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই রাশিয়াকে একঘরে করতে প্রস্তুত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি আগেই তাদের আকাশসীমা রাশিয়ার জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল। কানাডাও এই একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবার সেই একই পথে হাঁটল আমেরিকা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হবে। পুতিনের এই ইউক্রেন আগ্রাসন তেমনভাবে কোনও লাভ হবে না। তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে বলেন, ইতিহাসে এটা প্রমাণিত যে স্বৈরশাসকরা তাদের আগ্রাসনের জন্য কোনও মূল্য দেয় না। তারা শুধুমাত্র বিশৃঙ্খলাই তৈরি করতে পারে। তবে রাশিয়ার এই আগ্রাসন আমেরিকা ও গোটা বিশ্বের কাছে একটি হুমকি স্বরূপ।
রবিবারই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা ঘোষণা করেছিল যে তারা রাশিয়ান এয়ারলাইন্স ও ধনী রাশিয়ানদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে তাদের আকাশসীমা দিয়ে। কানাডার নিষেধাজ্ঞার জন্য সোমবার রাশিয়ার বৃহত্তম এয়ারলাইন এরোফ্লটকের বিমান বুধবার পর্যন্ত নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, মিয়ামি ও লস অ্যাঞ্জেলসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু আমেরিকাও তাদের আকাশসীমা রুশ বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় সেই বিমানগুলি যথেষ্ট সমস্যায় পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে ইউক্রেনের আগ্রাসনের বিষয়ে কিছুটা হলেও একরোখা পুতিন। মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও মার্কিন বিমানের জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে। এই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিমান চলাচল আরও ব্যায়বহুল হয়ে যাবে।
অন্যদিকে এখনও একরোখা মনোভাব নিয়ে চলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রায় অধিকাংশ এলাকাই দখল করে নিয়েছে। রাশিয়ার বোমা আর গোলার দাপটে প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বড় বড় শহরগুলি। ইউক্রেনের অভিযোগ রাশিয়ার হামলায় প্রাণ যাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের। কারণ রুশ হামলাকারীরা এখন আবাসিক এলাকাতেও হামলা চালাচ্ছে। এই অবস্থায় এখনও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।