বিদেশের মাটিতে অক্ষত অবস্থায় চাপা পড়ে ৯০০ শতাব্দীতে তৈরি শিবলিঙ্গ, উদ্ধার করল এএসআই

  • ভিয়েতনামের মাটিতে উদ্ধার হল শিবলিঙ্গ
  • ৯০০ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়েছিল
  • ১১০০ বছর পর উদ্ধার করল এএসআই 
  • শিবলিঙ্গের ছবি পোস্ট করলেন স্বয়ং বিদেশমন্ত্রী

Asianet News Bangla | Published : May 28, 2020 11:54 AM IST

সেই প্রাচীন কাল থেকেই দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের নিদর্শন মেলে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনে। প্রাচীনকালের সেইসব ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিস্তম্ভ পুনরুদ্ধারে হাত বাড়িয়েছে ভারত সরকার। আর তার অঙ্গ হিসাবেই এবার ভিয়েতনামে পাওয়া গেল ৯০০ শতাব্দীতে নির্মিত বেলেপাথরের একটি শিবলিঙ্গ। মাটি খুড়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এর হদিশ পেয়েছে। নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে যার ছবি শেয়ার করেছেন স্বয়ং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

 

 

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি খুব সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবেই পরিচিত ভিয়েতনাম। ভারতের সাথে দেশটির সম্পর্কও অনেক প্রাচীন কাল থেকেই। ভিয়েতনামে এর আগেও ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত  বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দু ধর্মের সঙ্গে যুক্ত বহু খুব সুন্দর নিদর্শনপাওয়া গিয়েছে। এবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি এখানে পেল নবম শতাব্দীর শিবলিঙ্গ। লালরঙের শিবলিঙ্গটি বেলেপাথর দিতে নির্মিত,  এবং সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় এটি একেবারে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। মাই সোনে মন্দির চত্বরে খননকালে এই শিবলিঙ্গটি পাওয়া গিয়েছে।

ভিয়েতনামের কোয়াং  প্রদেশের মাই সোনে ওয়ার্ল্ড মন্দিরকে হেরিটেজ আগেই ঘোষণা করেছিল ইউনেস্কো। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে এখান খনন কাজ চালান হচ্ছে।  ফরাসি বিশেষজ্ঞরা উনিশ শতকে এই মন্দিরটিকে জরাজীর্ণ অবস্থায় আবিষ্কার করেছিলেন। তখনি খননের সময় ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গের উপস্থিতি বর্ণনা করেছিলেন। খ্রিষ্টিয় নবম শতাব্দীতে  রাজা দ্বিতীয় ইন্দ্রবর্মণের শাসন কালে  নির্মিত হয়েছিল এই  মন্দির। যিনি কোয়াং প্রদেশে বিখ্যাত দং ডুং বৌদ্ধ বিহারও নির্মাণ করেছিলেন।  তবে উনিশ শতকে মন্দিরটি আবিষ্কারের পর খননকারীর অভাব থাকার কারণে শিবলিঙ্গটি পুনরুদ্ধার করা যায়নি।  পরবর্তীসময়ে ভিয়েতনামে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধের ফলে মন্দির চত্বর  আরও ধ্বংস হয়।

চলতি  বছরের শুরুতে  বিদেশমন্ত্রর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উদ্যোগ নেয়।  তার অশ হিসাবে ওই সমস্ত দেশে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং  ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া হয়। তার অঙ্গ হিসাবেই এএসআই-এর ৪ সদস্যের দল শিবলিঙ্গটি উদ্ধার করে।  এর আগেও এই  মন্দির চত্বর থেকে আরও ৬টি শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

Share this article
click me!