হাম, চিকেন পক্সের মত করোনাভাইরাস থেকেও মুক্তি নেই, রীতিমত আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

করোনাভাইরাসের সঙ্গেই আগামী দিন আমাদের থাকতে হবে
মারাত্মক ছোঁয়াছে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি নেই 
আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা 

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করোনার জীবানু। লক্ষ লক্ষ মানুষকে কাবু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রাণ নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। এর শেষ কোথায় তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে। কিন্তু একই মধ্যে আশঙ্কার আরও এক বাণী শোনেলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে প্রতিষেধ বা ওষুধ আবিষ্কার হলেও মুক্তি মিলবে না করোনাভাইরাস থেকে। হাম, চিকেন পক্স বা এইচআইভি-র মত এই রোগও থেকে যাবে বিশ্বে। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় এই ভাইরাসটি দীর্ঘমেয়াদী হলেও সর্বদা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থাকবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। এমনও দিন আসতে পারে যখন আমাদের দেহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ভাইরাসটি খাপ খাইয়ে নিয়ে সক্ষম হবে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজিস্ট বিবর্তননমূলক জীব বিজ্ঞানী সারা কোবে বলেছেন,  করোনাভাইরাস চিরস্থায়ী। এখন প্রশ্ন হল  আগামী দিনে কীভাবে এই ভাইরাসের সঙ্গে নিরাপদে বাস করা যাবে ? এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সমন্বয়। এই জাতীয় প্রচেষ্টা সময় অর্থ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। 

Latest Videos

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্ক অধিকাংশ দেশই সেই পথে না হেঁটে করোনাভাইরাসকে হঠাৎ শেষ করে আনার বিশয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় বিপর্যয় প্রস্তুতি কেন্দ্রের পরিচালক ইরউইন রেডলনার জানিয়েছেন, সংক্রমণ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছিল যেখানে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ দেশের কাছেই লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু লকডাউনের প্রভাবে প্রত্যেকটি দেশকেই ব্যপক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছ। যার প্রভাবে বৃদ্ধি পয়েছে বেকারিত্ব। দেশের নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্যও আঘাত পেয়েছে। কিন্তু লকডাউনের সময় দেশের সরকারগুলি করোনা মোকাবিলা ও পরবর্তী সংক্রমণ রুখতে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। 

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমোলজিস্ট এলিয়েন মারে বলেছেন, প্রত্যেকটি সম্প্রদায়কে এই নিয়ে ভাবতে হবে। আগামী দিনগুলিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে রুটিন পরীক্ষা করাতে হবে। কর্মক্ষেত্রেও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের উপ পরিচালক বার্নি গ্রাহাম বলেছেন, ২০২১ সালে শীতের আগেই বাজারে আসতে পারে ভ্যাস্কিন। কিন্তু তত দিন কী হবে? পাশাপাশি আরও মরশুমি রোগের প্রকোপ রয়েছে। প্রথম কয়েক বছর প্রতিষেধকের চাহিদা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ থাকবে বলে মনে করেছেন তিনি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমাদের এখানে কিম জং-য়ের লাইট ভার্সন আছে' Mamata-কে নাম না করে চরম কটাক্ষ Sukanta Majumdar-এর
বিয়ে করার জন্য পাত্রী তুলতে এসে শ্রীঘরে পাত্র, হুলুস্থুলু কাণ্ড কুলতলিতে | Kultali News
প্রকাশ্যে হুমকি! মমতার এই নেতার মুখের ভাষা...বিরোধীদের যা বললেন! দেখুন | Malda News Today |
২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya