পৃথিবীতে আছড়ে পড়া গ্রহাণুর প্রভাব চাঁদের মাটিতে, অবাক করা তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে

চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। চিনের চ্যাং-৫ মহাকাশযান চাঁদ থেকে পৃথিবীতে কিছু নমুনা এনেছে। সেগুলি পরীক্ষা করেই রীতিমত আবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন , পৃথিবীতে যে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার ডাইনোসরদের রাজত্বে শেষ হয়েগিয়েছিল সেই একই গ্রহাণু নমুনা  উদ্ধার হয়েছে চাঁদ থেকে
 

Saborni Mitra | / Updated: Sep 30 2022, 06:57 AM IST

চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। চিনের চ্যাং-৫ মহাকাশযান চাঁদ থেকে পৃথিবীতে কিছু নমুনা এনেছে। সেগুলি পরীক্ষা করেই রীতিমত আবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন , পৃথিবীতে যে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার ডাইনোসরদের রাজত্বে শেষ হয়েগিয়েছিল সেই একই গ্রহাণু নমুনা  উদ্ধার হয়েছে চাঁদ থেকে। বিজ্ঞানীদের অনুমান পৃথিবীতে যে গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল সেটাই সবথেকে বড়। আর সেই গ্রহাণুর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি চাঁদও। 

চাঁদের মাটি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীদের অনুমান  গ্রহাণুর প্রভাব শুধুমাত্র পৃথিবীতে ছিল না। বেশ কিছু ছোট ছোট প্রভাবও ছিল। দুই বলিয়ন বছর বয়সী আগের সেই ঘটনায় প্রভাব পড়েছিল চাঁদেও। চাঁদের থেকে আনা মাটি থেকেই নাকি এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

২০২০ সালে চিনার মহাকাশযান চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে এনেছিল। তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীদের অনুমান, উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে তাপ ও চাপ তৈরি হয়েছিল। 

সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় বা প্রভাব গলানোর সময় সিলিকেট কাচের কণাগুলি সমস্ত চন্দ্রের মাটির সর্বব্যাপী উপাদান। সাধারণত পুঁতি বা গোলক হিসাবে উল্লেখ করা হয়, এগুলি কয়েক দশ মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিলিমিটার পর্যন্ত আকারের হয় এবং সাধারণত গোলাকার, ডিম্বাকৃতি বা ডাম্বেল আকার থাকে।

চাঁদের এই মাইক্রোস্কোপিক কাচের পুঁতিগুলি কীভাবে এবং কখন গঠিত হয়েছিল তা নির্ধারণ করতে বিজ্ঞানীরা বিস্তৃত মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণাত্মক কৌশল, সংখ্যাসূচক মডেলিং এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপগুলিকে একত্রিত করেছেন। তারা দেখেছে যে চন্দ্রের কাচের পুঁতির কিছু বয়সের গ্রুপগুলি ডাইনোসরের বিলুপ্তির ঘটনার জন্য দায়ী চিকক্সুলুব ইমপ্যাক্ট ক্রেটার সহ কিছু বৃহত্তম স্থলজ প্রভাবের ক্রেটার ইভেন্টের বয়সের সাথে অবিকল মিলে যায়।

Share this article
click me!