ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা একটি অডিও ক্লিপে এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার স্নেক দ্বীপে মোতায়েন ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং একজন রাশিয়ান নৌ অফিসারের মধ্যে এই কথোপকথন স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে।
ইউক্রেন প্রায় দখলে রাশিয়ার। এম বলা যেতেই পারে। কারণ রাজধানী কিয়েভের খুব কাছে রয়েছে রুশ সেনা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কিয়েভ জুড়ে বোমাবর্ষণ। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো (Kyiv mayor Vitaly Klitschko) বলেছেন, শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানীতে (Ukraine's capital) একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে একটি রকেট আঘাত (rocket attack) হানে। অন্তত তিনজন আহত হয়েছে (At least 3 injured) এবং বিল্ডিংটিতে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। শুক্রবার ইউক্রেন, কিয়েভ ও দেশের অভ্যন্তরে রাশিয়ান ট্যাঙ্কগুলিকে আসতে বাধা দিতে টেট্রি নদীর সেতু উড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর।
এদিকে, যা পরিস্থিতি কিয়েভ শহরকে এই সপ্তাহের মধ্যেই রুশ সেনা ঘিরে ফিলবে। ফলে ইউক্রেনের পতন অনিবার্য বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে তারা রুশ বাহিনীর মধ্যে ৮০০ জনকে খতম করেছে। বৃহস্পতিবার পাওয়া সূত্র জানাচ্ছে একাধিক বিস্ফোরণের ফলে ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোল পুরোপুরি আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে।
মারিউপোল আজভ সাগরের বৃহত্তম ইউক্রেনীয় বন্দরগুলির মধ্যে একটি এবং এটি ডোনেটস্ক অঞ্চলে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে পরিচালিত। একে ভ্লাদিমির পুতিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মারিউপোলের দখল নেওয়া রাশিয়া ২০১৪ সালে এই বন্দর শহরকে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়।
রাশিয়ার হামলার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ হামলায় এ পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকসহ ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের একাধিক নেতা। প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুতিনের সাথে কথা বলেছেন। যুদ্ধ বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাশিয়া তিনটি প্রধান দিক থেকে ইউক্রেনে বড় আক্রমণ শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সেনা উত্তর দিক থেকে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে; পূর্ব থেকে ডোনেটস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে ও দক্ষিণে ক্রিমিয়া থেকে শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে, কয়েক ডজন টার্গেট বানিয়ে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।
ইউক্রেনের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনা ওডেসা এবং মারিউপোল বন্দরে অবতরণ করেছে। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরে একটি বড় সেনা সাঁজোয়া নিয়ে ইউক্রেনের উপকূলে, প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং কর্মীদের মোতায়েন করতে সক্ষম জাহাজগুলিকে সাজিয়ে রেখেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বে দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দিকে জড়ো হয়েছে।