জম্মু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের লোকদেখানো উদ্বেগের কড়া জবাব দিল নয়াদিল্লি। পরিষ্কার জানিয়ে দিল আগে নিজের দেশ সামলাক পাকিস্তান।
বিশ্ব মঞ্চে ফের পাকিস্তানের (Pakistan) নাকিকান্নায় ক্ষুব্ধ ভারত (India)। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের লোকদেখানো উদ্বেগের কড়া জবাব দিল নয়াদিল্লি। পরিষ্কার জানিয়ে দিল আগে নিজের দেশ সামলাক পাকিস্তান। সীমান্তের এপাড়ে কী হচ্ছে, তা না জানলেও চলবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মঞ্চে (UNHRC) পাকিস্তানকে একহাত নিল ভারত। এদিন ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের নাক গলানো মনোভাবকে কোনওভাবেই পাত্তা দেয় না নয়াদিল্লি।
ভারত জানিয়েছে পাকিস্তান সহ অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনের দেশগুলিও কাশ্মীর প্রসঙ্গে মন্তব্য করার অধিকার রাখে না। এটা সম্পূর্ণ ভারতের নিজস্ব ব্যাপার। ভারতের পর্যবেক্ষণ বিশ্বের দরবারে যখনই পাকিস্তান কথা বলার সুযোগ পায়, তখনই কাশ্মীর নিয়ে কথা বলে নিজেদের সময় নষ্ট করে। নিজেদের আন্তর্জাতিক শক্তির অপব্যবহার করা পাকিস্তানের স্বভাব।
এদিন জেনেভায় ভারতীয় মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পবন বাধে জানান, ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর জন্য কাউন্সিলের দেওয়া প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করা পাকিস্তানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কাউন্সিল পাকিস্তানের এই আচরণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তবু ব্যর্থ চেষ্টা করতে ছাড়ে না ইসলামাবাদ।
পবন বাধে বলেন পাকিস্তান শিখ, হিন্দু, খ্রিস্টান সহ একাধিক সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী ও মেয়েদের অপহরণ, জোর করে বিয়ে ও ধর্মান্তরের ঘটনা রোজ সামনে আসে। ভারত এদিন জানায়, পাকিস্তানে সুশীল সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিকদের মত বিরোধী কণ্ঠস্বর দৈনন্দিন চেপে ধরা হয়। মানবাধিকার কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা পাকিস্তানে নিত্যনৈমিত্তিক।
ভারত এদিন সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের দুর্বলতাকেও সামনে আনে। ভারত জানায়, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে একের পর এক নাশকতামূলক কাজ হয়ে চলেছে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা বিশ্ব জুড়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের প্রকাশ্যে সমর্থন করে। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়, ফান্ড দেয়, ও অস্ত্রের সরবরাহ করে।
এদিন নয়াদিল্লি একহাত নেয় মুসলিম দেশগুলির গোষ্ঠীকেও। ওআইসিকে তুলোধনা করে ভারত বলে ওআইসির মতো মঞ্চ পাকিস্তানের সুর সুর মেলাচ্ছে, এটা দুঃখজনক। ওআইসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার রাখে না। জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে। এর আগে,অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানানো হয়।