
Bangladesh News: 'বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। কেউ ধর্মান্তরিত হতে না চাইলে জবাই করা হচ্ছে। সুন্দরী হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। জামাত যদি ফের ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশে আর হিন্দুরা থাকতে পারবে না।' এক নিঃশ্বাসে যিনি কথাগুলি বলে যাচ্ছিলেন, তিনি বাংলাদেশের বঙ্গভূমি আন্দোলনের এক প্রথমসারির নেতা। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দল আওয়ামি লিগেরও (Bangladesh Awami League) ঘনিষ্ঠ তিনি। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের পর থেকে তিনি আর নিজের বাড়িতে নেই। বরিশালে (Barishal) তাঁর বাড়িতে লুটপাট চালানোর পর জ্বালিয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। বড় ব্যবসা ছিল এই নেতার। সেই ব্যবসা শেষ হয়ে গিয়েছে। সহায়-সম্বলহীন, কপর্দকশূন্য অবস্থায় এখন প্রাণটুকু বাঁচাতে অজ্ঞাত স্থানে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন এই নেতা ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান। তিনি কাতর স্বরে বলছেন, 'আমার নাম লিখো না ভাই। আমার ছবি দেখিও না। আমি যদি প্রকাশ্যে আসি, তাহলে ওরা মেরে দেবে। আমার স্ত্রী-সন্তানও রেহাই পাবে না।'
প্রকাশ্যে আসতে না পারলেও, বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজের সব খবরই রাখছেন এই নেতা। তিনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন, 'বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা। ৬৪ জেলাতেই ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানের আইএসআই (Pakistan's Inter-Services Intelligence,)। করাচি (Karachi) থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে (Chattogram) জাহাজে করে কী এসেছে? সারা বাংলাদেশে মৌলবাদী, জঙ্গি সংগঠনগুলি সক্রিয়। জামাতের ৫১ সংগঠন সক্রিয় হয়েছে। এতদিন জামাতের কোনও হিন্দু সংগঠন ছিল না। এবার ওরা হিন্দু সংগঠন করেছে। ওদের লক্ষ্য হল হিন্দুদের ঘরে ঢুকে পড়ে সুন্দরী মেয়েদের টেনে নিয়ে যাওয়া। এতদিন বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের পর পরিবারের সম্পত্তি পাওয়ার আইন ছিল না। এবার সেই আইন করতে চলেছে। উদ্দেশ্য হল, হিন্দু মেয়ে বিয়ে করে তাদের সম্পত্তি দখল করা।'
বাংলাদেশের এই নেতা আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বলছেন, 'বাংলাদেশে এখনও আওয়ামি লিগের ৫০ শতাংশ ভোট আছে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে রেখে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ভারত এই নির্বাচন মানবে না। আন্তর্জাতিক মহলও মানবে না। আমার আশা, ডিসেম্বরের মধ্যেই আওয়ামি লিগ ফিরবে। না হলে হয়তো নির্বাচন হবেই না।'
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই নেতা। তাঁর দাবি, ‘ঢাকায় যে ভূমিকম্প (Dhaka Earthquake) হল, তা ম্যান-মেড ছাড়া আর কিছুই না। সারা ঢাকা শহর কেঁপে উঠেছিল, ভবনগুলি দুলে গিয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই চিকেনস নেক (Chicken's Neck), পার্বত্য চট্টগ্রামে কী হয় দেখো। ভারত যদি এবার কিছু করতে না পারে, তাহলে আর কোনওদিন পারবে না। ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) যে ভুল করে গিয়েছেন, তা এবার সংশোধন করতেই হবে।’ বাংলাদেশের এই নেতার দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বড় কোনও ঘটনা ঘটতে চলেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।