
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। নতুন করে সেখানে সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, গোপালগঞ্জে যে অশান্তি হতে পারে সেই খবর আগে থেকেই পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কোনও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ পুলিশ যদি যথা সময় পদক্ষেপ করত তাহলে এজাতীয় ঘটনা ঘটত না বলেও বলেও মনে করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র, 'প্রথম আলো'র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের কয়েকজনকে উদ্ধৃত করে বা হয়েছে, বাংলাদেশের সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি গোপালগঞ্জের কর্মসূচি করতে এলে তাদের বাধা দেওয়াহবে স্থির করেছিল আওয়ামী লিগ ও শেখ হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের নেতা কর্মীরা। এনসিপি নেতাদের মারধর ও পাকড়াও করে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার পরেও দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসন কেন ব্যর্থ হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছে, গ্রাম থেকে লোক এনে বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রচার করা হচ্ছিল। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে হামলা চালানো হবে। গোপালঞ্জ জেলার নাম বদলে দেওয়া হবে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন হাসিনার দলের কর্মীরা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জে যে ঝামেলা হতে পারে, তা বুঝতে গোয়েন্দা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, মুজিবের জেলা গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ বরাবরই শক্তিশালী। হাসিনা সরকারের পতনের পর দলের নেতা-কর্মীরা যখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে পালাচ্ছেন, সেই সময়েও গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলা করেছিলেন তাঁদের কয়েক জন। তাই পুলিশের একাংশও মনে করছেন, গোপালগঞ্জ নিয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।