
রবিবার আওয়ামি লিগের ডাকা সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। 'শহিদ নূর হোসেন দিবস' উপলক্ষে এদিন বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বিকেল তিনটেয় ঢাকার গুলিস্তান অঞ্চলে শহিদ নূর হোসেন চত্বরে জিরো পয়েন্টে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। স্বৈরাচার-বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল আটকানোর জন্য পুলিশের পাশাপাশি সক্রিয় হয় বিএনপি। অনেক আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার আগেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশের সামনেই আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়। অনেক সাধারণ মানুষকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই সময় পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তানে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ!
রবিবার গুলিস্তানে এক মহিলা হিজাব, বোরখা না পরেই গিয়েছিলেন। তাঁকে হেনস্থা করে একদল মৌলবাদী। প্রকাশ্যে এই মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়। সেই সময় গুলিস্তানে বহু মানুষ ছিল। কেউ এই মহিলার হেনস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়নি। তালিবানশাসিত আফগানিস্তান বা ইরানে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। এখন বাংলাদেশেও সেটা হচ্ছে।
বাংলাদেশে অস্থিরতা অব্যাহত
শনিবারই কুড়িল বিশ্বরোডে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় মৌলবাদীরা। রবিবার গুলিস্তানে প্রতিবাদীদের উপর হামলা চালানো হল। কোনও ক্ষেত্রে বাধা দেয়নি পুলিশ। আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরেও হামলা চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে। বহু হিন্দু আহত হয়েছেন। অনেকজনকে ধরেও নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ধর্মীয় অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে সারা বাংলাদেশেই হিন্দুরা আতঙ্কিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বাধা' দেশত্যাগের পর প্রথম সরকারি বিবৃতি শেখ হাসিনার
চট্টগ্রামে সমাবেশের কারণে ইসকন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, প্রতিবাদ বাংলাদেশে