দীপু চন্দ্র দাশের পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

Published : Dec 24, 2025, 04:31 PM IST
Protest Against Mob Violence In Bangladesh

সংক্ষিপ্ত

Bangladesh Violence: ময়মনসিংহের (Mymensingh) ভালুকা উপজেলায় দীপু চন্দ্র দাশের (Dipu Chandra Das) নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে এবার নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

DID YOU KNOW ?
আতান্তরে দীপুর পরিবার
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য দীপু চন্দ্র দাশ খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রবল সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন।

Dipu Chandra Das: বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহ (Mymensingh) জেলার ভালুকা উপজেলায় দীপু চন্দ্র দাশের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায় এড়াতে না পেরে এবার তাঁর পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। খুন হওয়া হিন্দু যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (Chowdhury Rafiqul Abrar)। তিনি বলেছেন, 'দীপু দাশের সন্তান, স্ত্রী ও বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে রাষ্ট্র। ওই ঘটনা হল পাশবিক অপরাধ, যার কোনও অজুহাত থাকতে পারে না।' দীপুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি আরও জানিয়েছেন, দীপুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইউনূস।

বিচার চাইছে দীপুর পরিবার

নিম্নবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন দীপু। ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করার পর গায়ে আগুন দিয়ে খুন করে মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। দীপুকে হারিয়ে তাঁর পরিবার সবদিক থেকেই অসহায় হয়ে পড়েছে। এই যুবকের বাবা রবিচন্দ্র দাশ তাঁর ছেলের হত্যার ন্যায়বিচার চেয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁদের সংসার কীভাবে চলবে, সেই চিন্তাও গ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার যদি সত্যিই এই পরিবারের দায়িত্ব নেয়, তাহলে সুরাহা হবে।

বিচারের আশ্বাস বাংলাদেশ সরকারের

দীপুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, 'তদন্ত চলছে। যারা দায়ী, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিচারের অধীনে আনা হবে। এ ধরনের হিংসার বিরুদ্ধে আইন তার পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে। ধর্ম বা পরিচয় নির্বিশেষে সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সমাজ একসঙ্গে কাজ করবে। নিশ্চিত করবে, যাতে হিংসা বরদাস্ত করা না হয়। বর্তমানে কিছু দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী বিভাজন সৃষ্টি করে অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
২০২৬
২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে হিংসা।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ভাত খেতেও বাংলাদেশিদের ভরসা ভারতই, বিদ্বেষের পরও মোদী সরকারের কাছ থেকে চাল ধার ইউনূস প্রশাসনের
'বাঁচতে চাইলে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে হবে', বাংলাদেশি হিন্দুদের ফরমান ইসলামি জঙ্গি নেতার