বাংলাদেশের সদ্য প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার বলেছে যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে রয়েছে। ভারত আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এদিন বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি দেশের একজন ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রভাবিত হয় না।'
গত ৫ অগাস্ট থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে তিনি পালিয়ে আসেন। সেই থেকে রয়েছেন ভারতের সেফহাউসে। ৫ অগাস্টে হাসিনার পদত্যাগের পর এটাই ছিল প্রথম কূটনৈতিক প্রেস ব্রিফিং।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসানের কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মুহাম্মদ ইউনূস। ৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নিয়েছেন - প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য একটি পদ। তৌহিদ হোসেনের প্রেস ব্রিফিংএর সময় এদিন উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা। সেখানেই তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্তর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থন জানিয়ে রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি নতুন সূচনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের ছাত্রদের জন্য গর্বিত বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আগামী দিনের স্বপ্ন দেখছে। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দেবে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, 'বৈষম্য ও বৈষম্যের অবসান ঘটাতে চেষ্টা করছে।'
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশে হাসিনার আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা এখনও নেই। তিনি বলেন, দলটির অনেক অবদান রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। সেই অবদান কেউই অস্বীকার করছে না। তাই হাসিনার দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি আরও বলেন, যখন নির্বাচন হয় তখন সেখানে সকলেরই সঠিকভাবে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিৎ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।