Ganges Water Treaty: ঢাকার সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা নিয়ে আলোচনা, ভারতের সিদ্ধান্তে কপালে ভাঁজ ইউনূসের

Published : Jun 28, 2025, 11:03 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Bangladesh News: পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ! জলচুক্তি বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে চাইছে ভারত? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…  

Bangladesh News: জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সিদ্ধু জলচুক্তি। এবার বাংলাদেশের সঙ্গেও গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে নয়া দিল্লি। সূত্রের খবর, কেনদ্রীয় সরকারের তরফে ঐতিহাসিক গঙ্গাজল চুক্তিতে ব্যাপক রদবদল, পর্যালোচনা এবং সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে। তা থেকে জানা গিয়েছে যে, সরকার গঙ্গার জলচুক্তিতে বেশকিছু পরিবর্তনের কথা ভাবছে।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিকাঠামোগত চাহিদা মেটাতে ভারত চাইছে যে, চুক্তির বিভিন্ন শর্ত পুনর্বিবেচনা করতে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। আর সেই হিসেবে ৩০ বছরের মেয়াদে এই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে গঙ্গার জল বিভাজন নামে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই কারণে এখন নয়াদিল্লি সরকার চাইছে, রোজকার প্রয়োজন অনুসারে এই চুক্তির নবীকরণের সঙ্গে আমূল পরিবর্তন আনতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানায় ফরাক্কা বাঁধের থেকে গঙ্গার জল ভাগ করার বিষয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যাতে একেবারে শুখা মরশুমে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পর্যাপ্ত জল বাংলাদেশের দিকে যায়। যদিও এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন চাইছেন এই জলবণ্টন চুক্তির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে সুষম জলবণ্টনের দাবি তুলেছে তাঁরা। আর সেই কারণেই, ভারত গঙ্গা অববাহিকায় সেচ বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চাইছে। কারণ, ফরাক্কা বাঁধ নির্মাণের সময় ঠিক হয়েছিল যে, এখান থেকে ৪০০০০ কিউসেক জল ফিডার ক্যানেলের মাধ্যমে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জন্য পরিবাহিত করবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাওয়ার পরই শুরু হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশন। ১৯৭৭ সালে একটি স্বল্প মেয়াদি চুক্তি হয়। এরপর ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করতে থাকে ভারত।

এরপর দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সেইরকম কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের চাপে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার সময় দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব স্থাপনে চলতি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর শেষ হওয়ার আগেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ভারত সরকার। দুই পক্ষই নতুন চুক্তি নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের শেষদিকে দিল্লির সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বিহার সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পুনর্বিবেচনা কমিটি গঠন করে। যেখানে দেশের ও রাজ্যগুলির চাহিদা নিয়ে নিরন্তন আলোচনা চলতে থাকে।

এদিকে চলতি বছরের মার্চ মাসে দুই দেশের টেকনিক্যাল টিম কলকাতায় একটি আলোচনায় বসেছিল। সেখানে ফরাক্কা থেকে জলবণ্টন নিয়ে একটি সমঝোতাপূর্ণ আলোচনা হয়। এই বছরের শেষেও ফের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজত্ব। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতত্বে চলছে এই সরকার। যদিও ভারত আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, গঙ্গা জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি হবে বাংলাদেশের নব নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে। ওদিকে বাংলাদেশে ভোটের নামগন্ধ নেই। এই আবহে ভারত যদি গঙ্গা জলবিভাজন নিয়ে নয়া কোনও সিদ্ধান্ত নেয় তাতে ইউনূস যে মহাফাঁপড়ে পড়বে তা হলফ করে বলা যেতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

কেমন আছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া? শুরু বিদেশ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়
গুরুতর অসুস্থ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ভর্তি রয়েছেন ঢাকার হাসপাতালে