
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও শান্ত হল না বাংলাদেশ। বাংলাদেশে অশান্তির আগুন এখনও জ্বলছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। লাগাতার অত্যাচারের মুখে ঘুরে দাঁড়াতে হিন্দুরা ঢাকা থেকে চট্টোগ্রাম- আন্দোলনে নেমেছে। মিছিল মিটিং করছে। ধর্না আন্দোলনও শুরু করেছে। এই অবস্থায় হিন্দুদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ইস্কনের সন্ন্যাসী চন্ময়কৃষ্ণ দাস। হিন্দুদের দমাতেই তাঁর কণ্ঠরোধ করার জন্যই দেশদ্রোহীতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তারপরেও চিন্ময় - অনুগামীদের বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। তারওপরও অত্যাচার শুরু করে। এই অবস্থায় ইস্কনের মন্দিরের ওপর নজর পড়ে বাংলাদেশ সরকারের।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের হিংসার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ইস্কনের সেন্টারগুলি ঘিরে হিংসা বাড়ছে। মৌলবাদী সংগঠনগুলি আক্রমণ করছে। ইক্সনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এই অবস্থায় একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন, শিবচরে একটি ইস্কনের নামহাট্টা সেন্টার মুসলিম সংগঠন জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে। মন্দিরের হোডিং খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চিন্ময়কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারি বন্ধ করার পর থেকেই ইস্কনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বাংলাদেশে। মৌলবাদী সংগঠন অ্যাখ্যা দেওয়ারও দাবি উঠেছে। ইস্কন জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক বলেও দাবি করা হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার ইস্কন নিয়ে এখনও তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয়। ধীরে চলো নীতি গ্রহণের পক্ষপাতী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।