
সদ্য প্রধান উপদেষ্টার পর থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু, সহকারী দলগুোর সমর্থনে তিনি পদত্যাগ করেননি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার ১০টি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিক বৈঠকে এক বিশেষ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনওভাবেই তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান না এবং তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আর বাড়াতে চান না। এপ্রিলে পর নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও কিনি জানান।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি এতদিন যা করেছি তা সবই ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি না সবাই আমার সঙ্গে একমত হন- এরকম ধারণা প্রধান উপদেষ্টা ছিল। তখন আমরা তাকে বুঝিয়েছি যে আপনার বেশি করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করতে হবে, কথা বলতে হবে, মতবিনিময় করতে হবে। আপনি কেমন করে নির্বাচন করতে চান তা সবার সঙ্গে শেয়ার করবেন। আপনার সেক্ষেত্রে দেখতে হবে কোনটা সংস্কার না করলেই নয়, সে ক্ষেত্রে যদি সময়ক্ষেপণ হয় নির্বাচন বিলম্ব হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংস্কারের বিষয় কিছু বলছি না, আমরা শুধু চাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের ধ্বংস করে দিতে চায়। এজন্য পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবন্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু এই ঐক্য দিন দিন দুর্বল হচ্ছে, এ জন্য তিনি কিছুটা হতাশ। এই অবস্থায় আমরা সবাই এক থাকব বলে জানিয়েছি। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু প্রধান জাতীয় ইস্যুতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। তিনি মোটামুটিভাবে আশ্বস্ত হয়েছেন।
মান্না আরও বলেন, তার পদত্যাগ নিয়ে কী হয়েছিল, তা আমাদের জানান। আমরা বলেছি, পুরো জাতি আপনার পদত্যাগ চায় না। নির্বাচনটা করে হবে এবং কীভাবে হবে তা আমরা জানতে চেয়েছি। উনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কম সংস্কার হয় তবে ডিসেম্বর, আরযদি বেশি সংস্কার হয়, তবে জুনে নির্বাচন। জুনের পর কোনওভাবে এটা গড়াবে না। আমি তাদের লিখে দিতে চাই, আমি কোনওভাবেই ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই না। অন্তর্বর্তী সরকার এর বেশি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায় না।
এরই মাঝে একদিন ঢাকা বিমান বন্দরে দেখা যায় শয় শয় সেনা। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বাসীন্দাদের একাংশ মনে করছে ইউনুসের পদত্যাগ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি যে কোনও সময় এই বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই সেরকম কিছু যাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেনায় ভরে গিয়েছে বিমানবন্দর। শুরু হয়েছে সেনা টহল।