শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীনই বাংলাদেশে মৌলবাদ চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। হাসিনা সরকার মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কয়েক মাসের পুরনো একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
স্বামী তালাক দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়। ফের একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। কিন্তু মুসলিম ধর্মের নিয়ম অনুসারে, স্বামী তালাক দিলে হালালা বিয়ে ছাড়া আবার স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে পারেন না। এরই সুযোগ নিয়ে হালালা বিয়ের নামে এই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার অভিযোগ উঠল এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয় মসজিদের মধ্যে। মসজিদের ইমাম এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের গাজিপুরের শ্রীপুরে। ক্ষোভের মুখে ইমাম কফিলউদ্দিনকে বরখাস্ত করেছে মসজিদ কমিটি। এই ঘটনায় বাংলাদেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মসজিদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।
ঠিক কী হয়েছিল?
ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাঁকে তালাক দেওয়ার পর ফের একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তখন তাঁরা পরামর্শ নেওয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষক ইসমত আলির কাছে যান। ইসমত তখন তাঁদের মসজিদে নিয়ে যান। মসজিদের ইমাম তখন ইসমতের সঙ্গে হালালা বিয়ে দেন। এরপর মসজিদের ইমামের পাহারায় তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এরপর ইসমত তাঁকে তালাক দেন। ইমাম জানান, তিন মাস পরে ফের বিয়ে করতে পারবেন এই মহিলা।
অভিযোগ অস্বীকার ইসমতের
মসজিদের মধ্যে ওই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমত বলেছেন, ওই মহিলা তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন। তিনি তখন অন্য একজনকে বলে ওই মহিলাকে ফের স্বামীর সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। নিজে ওই মহিলার সঙ্গে মসজিদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি বলে দাবি ইসমতের। তাহলে কার সঙ্গে ওই মহিলার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হল? এ বিষয়ে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন ইসমত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে এসে গ্রেফতার BSFএর হাতে, দুই বৃদ্ধা বললেন আতঙ্কের কথা
এবার বদলে যাবে বাংলাদেশের নাম? নতুন নাম বাছতে দুই সংগঠনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু