সংক্ষিপ্ত
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের প্রশাসনিক দায়িত্বে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার পতনকে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ জয় হিসেবে দেখেছে।
শেখ হাসিনার পতনের পরই বদলে গেছে বাংলাদেশের চরিত্র। মৌলবাদীদের আস্ফালন বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষমতা ঔদ্ধত্য। সেই কারণে কখনও কলকাতা দখল কখনও আবার আগরতলা দখলের হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। তাতে সায় দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলিও। এই অবস্থায় বাংলাদেশের নাম বদল নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেখানেও বিবাদ দেখা দিয়েছে। দুই সংগঠনের মধ্যে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের প্রশাসনিক দায়িত্বে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার পতনকে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ জয় হিসেবে দেখেছে। আর সেই কারণে হাসিনার পতনের পরই শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারের সমস্ত স্মৃতি আর ইতিহাস মুছে ফেলতেই উদ্যোগী হয়েছে। আর সেই কারণেই দেশের নাম পরিবর্তন। কিন্তু সেখানেও বিবাদ। সম্প্রতি বাংলাদেশের নাম বদলের উদ্যোগ নিয়েছে সেই দেশেরই বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। কিন্তু সেখানেও একমত হতে পাচ্ছে না তারা।
ইসলামি আন্দোলনের বাংলাদেশের সদস্য আশরাফ আলি আকন্দ জানিয়েছেন বাংলাদেশের নাম হবে 'বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্র'। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গে কল্যাণ শব্দ থাকলে কেউ দেশের অকল্যাণের কথা চিন্তা করতে পারবে না। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন বাংলাদেশের নাম হবে 'গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ'। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ লেখা রয়েছে সংবিধানে। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী কেটে করা হবে গণতান্ত্রিক। প্রজাতন্ত্র বাদ দেওয়ার দাবি তাদের।
অর্থাৎ নাম পরিবর্তনে দুই নেতার দুই মত। যা নিয়ে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছে সাধারণ বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি শেখ হাসিনা লন্ডনে আওয়ামি লিগের একটি সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই। যদিও অন্য প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও মিলে যাচ্ছে সেই কথা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।