
Rohingya Terrorist: আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা-র প্রধান দাবি করেছেন, রাখাইন প্রদেশের পুরোটাই এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। এদিকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়ার জন্যে ইউনুস সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছে সে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরের ভিতর ঢুকে রোহিঙ্গা শান্তিকর্মী মহিব উল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল এই আতাউল্লাহ। এছাড়াও, তিনি দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজারে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি হত্যার মূল অভিযুক্ত।
তারই মাঝে একটি মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়েছিল এই জঙ্গি নেতাকে। সেই সময়ই মিডিয়ার সামনে এই সমস্ত দাবি করে বসেন আতাউল্লাহ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি হল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির শীর্ষ নেতা। এছাড়াও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নারায়ণগঞ্জে একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে আরামে থাকত এই রোহিঙ্গা জঙ্গি। হিন্দুদের উপর নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত এই জঙ্গি নেতা আতাউল্লাহ ইতিমধ্যেই পরিচিত। তাঁকে আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন মায়ানমারের হিন্দুরা। গত ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে, উত্তর মংডু এলাকায় খা মউংসিক গ্রামে ১০০ জনেরও বেশি হিন্দুকে মেরেছিল এই আতাউল্লাহ। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন শিশুও ছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৩ মার্চ খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ঘাটে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ইউনিফর্ম উদ্ধার করে ব়্যাব। অনুমান করা হচ্ছে, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার জন্যেই এইসব পোশাক তৈরি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, রাখাইনে বর্তমান পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পিছনে বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের ভূমিকা নিয়েও রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে একটি। তার আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গেছে আরাকান আর্মির।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।