সম্প্রতি ইসকন মন্দিরের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট এসেছিল। যাকে ঘিরে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে অস্থিরতা। ওই ঘটনার পর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ হিন্দু সন্ন্যাসী কৃষ্ণদাস প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে আটক করে। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই শিরোনামে আসেন এই সন্ন্যাসী। কিন্তু, কখন এবং কীভাবে কৃষ্ণদাস প্রভু শিরোনামে এলেন?
কে এই কৃষ্ণদাস প্রভু ?
ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা দের মধ্যে অন্যতম সদস্য ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। সনাতন অনুসারীরা তাকে চিন্ময় প্রভু নামে চেনেন। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হওয়ার পাশাপাশি তিনি পুণ্ডরীক্ষ ধামের অধ্যক্ষও।
বাংলাদেশে সনাতন ধর্মের বিষয়েবেশ কয়েকটি সভা হয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে ইসকন এর সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্কীকরণ বক্তৃতা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি ময়দানের সমাবেশ থেকে।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠক থেকে চিন্ময় কৃষ্ণদাস বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার একাধিক অভিযোগ তোলেন। এমনকি মন্দিরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কাঞ্চন গুপ্তা দাবি করেছেন, "নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কৃষ্ণদাসকে গ্রেপ্তার করেছে। তার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "হিন্দু আক্রমণ মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এবং চিন্ময়। কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী হিন্দুদের পক্ষে একটি গণসমাবেশের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশ হওয়ায় ইউনূস সরকারের গোয়েন্দা শাখা তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে।''