মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আলু, পেঁয়াজ, ডিম, ভোজ্য তেল, মাংস, চাল- নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের দাম হুহু করে বাড়ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অরাজকতা চলছে বাংলাদেশে। একদিকে নৈরাজ্য অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধি! যাতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকারের। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শেষপর্যন্ত ভারতের কাছেই হাত পাততে হয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার এর আগেও ভারতের থেকে একাধিকবার সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভারত এবার কী করে তাই এখন দেখার।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আলু, পেঁয়াজ, ডিম, ভোজ্য তেল, মাংস, চাল- নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের দাম হুহু করে বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি এতটাই আকাশছোঁয়া যে ক্রমশই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ গত দুই মাস ধরেই আলুর দাম চড়া। পুরনো আলুর দাম কেজি প্রতি ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। বর্তমনে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। যার দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদবন অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে কিলো প্রতি দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৮০-৯০ টাকা। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাংলাদেশে কয়েক দিন ধরে কিছুটা হলেও কমেছে। আর পাকিস্তানি পেঁয়াজের দান ৬৫-৭০ টাকা। পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশ থেকেই আমদানি বাড়িয়েছে ইউনুস সরকার।
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে ডিমের আকাল। এর আগেও একাধিকবার ভারত ডিম দিয়ে সাহায্য করেছে বাংলাদেশকে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে একডজন পোলট্রির ডিমের দাম ১৪৫-১৫০ টাকা। ভারতীয় ডিম সে দেশে ঢুকলে তা কমতে কমতে পরে। চালের আকালও রয়েছে বাংলাশে। অভাব মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। যার জন্য বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২৮২ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।