Afghanistan Women: বোরখা নিয়ে উলটপুরাণ তালিবান নেতার, হিজাবেই সায়

বোরখা নিয়ে ভিন্ন মত তালিবান নেতার। দোহায় বসে আফগান মহিলাদের আশ্বস্ত করলেন এক তালিবান নেতা। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 17, 2021 6:55 PM IST

তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্ধেগ বাড়ছে। সেই উদ্বেগ শুধুমাত্র আফগানিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। গোটা বিশ্বই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফগান মহিলাদের নিয়ে। তবে তারই মধ্যে মঙ্গলবার তালিবানরা জানিয়েছে আফগানিস্তানে তাদের জমানায় বোরখা বাধ্যতামূলক নয়। তবে হিজাব পরতেই হবে। 

দোহায় তালিবান নেতা সুহেল শাহীন ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বোরখাই একমাত্র হিজাব নয়, যেটি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ধরনের হিজাব ব্যবহার করা যেতে পারে। হিজাবকে শুধুমাত্র বোরখার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা ঠিক নয়। তবে কী ধরনের হিজাব তালিবানি শাসনে মহিলারা ব্যবহার করনে তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে দেননি শাহীন। বোরখা হল একমাত্র পোষাক যেটি সাধারণ কোনও পোষাকের ওপর মহিলারা পরেন। এই পোষাক মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে। চোখের জায়গায় জালি জালি লেস জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়। 

আগের বার ৯০এর দশকে ক্ষমতায় আসার পর তালিবানরা কঠোর শরিয়তি আইন লাগু করেছিল। যেখানে মহিলাদের বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সরকারি ও বেসরকি সংস্থা থেকে একটি মাত্র নোটিশ জারি করে মহিলাদের কাজের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। শুধু মহিলা নয়, স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শিশুদের। পুরুষের জন্যও কঠোর নিয়মকানুন লাগু করেছিল আগের তালিবান সরকার। 

এদিন দোহাতে বসেই শাহীন আফগান মহিলাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, মহিলাদের প্রাথমিক আর উচ্চ শিক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তালিবানরা। অর্থাৎ মহিলারা বিশ্ববিদ্যালয়েও যেতে পারেন। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, মস্কো সম্মেলন আর দোহার সম্মেলনে মহিলার শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না বলেও ঘোষণা করেছে তালিবানরা। তিনি মনে করিয়ে দেন তালিবানদের দখলে থাকা এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও স্কুলই বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। 

যদিও আগের তালিবান সরকার, ধর্মীয় পুলিশ প্রথা চালু করেছিল। যা ধর্মের নামে সাধারণ আফগানবাসীর স্বাধীনতা খর্ব করেছিল। তালিবানি আদালত চোরেদের হাত কেটে দেওয়ার বিধান দিত। আর ব্যাভিচারে অভিযুক্ত মহিলাদের পাথর ছুঁড়ে হত্যার নিদান দিত। তালিবানরা কাবুল দখল করার পরেই সেইসব ভয়ঙ্কর দিনের স্মৃতি ফিরে আসছে। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। 

Share this article
click me!