শূকরদের রাখা হচ্ছে ১৩ তলা 'হোটেলে', ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকাতে অদ্ভূত পন্থা নিল চিন


চিনে ১৩ তলা 'হোটেল'এ ১০,০০০-এরও বেশি শূকর। রয়েছে নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং অভ্যন্তরীণ পশুচিকিত্সা পরিষেবাও। 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 6, 2021 4:30 PM IST / Updated: Aug 07 2021, 02:42 PM IST

১৩ তলা 'হোটেল', পুরোটাই শূকরের জন্য। ১০,০০০-এরও বেশি শূকরকে দারুণ বিলাসবহুল অবস্থায় রাখা হয়েছে চিনে। ১৩ তলা ভবনে রয়েছে নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং অভ্যন্তরীণ পশুচিকিত্সা পরিষেবাও। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে শূকরদের এইভাবে রাখা। চিনের প্রধান মাংসের প্রধান উৎস শূকর। তাই তাদের জৈব নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে বেজিং। তারই অংশ এই শূকরদের হোটেল। কয়েক বছর আগে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুতে চিনের প্রায় অর্ধেক শূকর মারা পড়েছিল। সেই অবস্থা যাতে আবার না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। 

এগুলিকে 'হগ হোটেল' বলা হলেও এগুলি আসলে বিশালাকার উল্লম্ব খামার। মুয়ুয়ান ফুডস এবং নিউ হোপ গ্রুপ সহ বিভিন্ন চিনা খামার সংস্থা সরকারি সহায়তায়  এই উল্লম্ব খামারগুলি তৈরি করেছে। চিনে প্রতি বছর অন্তত ৪০ কোটি শূকর উৎপাদন করা হয়। ২০১৮ সালে, আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-তে এর অর্তেকের বেশি মারা পড়েছিল। ফলে মাংসের দাম হুহু করে বেড়ে গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ থেকে ব্যাপক হারে মাংস আমদানী করতে হয়েছিল। এই সংকটে আট বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেকা গিয়েছিল চিনে। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চিন সরকারকে হিমায়িত মাংসের জরুরি উৎসে হাত দিতে বাধ্য হয়েছিল। 

ভাইরাসের হুমকি চিনে এখনও বহাল রয়েছে। ২০২১ সালে এখনও পর্যন্ত ১১ টি আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-এর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। যার ফলে ২,০০০ এরও বেশি শূকরকে মেরে ফেলতে হয়েছে। বিশ্বে শূকর উৎপাদনে সবার আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস। এই তিনদেশের জৈব নিরাপত্তার মানও বিশ্বের মধ্যে সেরা। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এদের একটিও আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু-এর ঘটডনা ঘটেনি। চিন এখন জৈব নিরাপত্তা এবং বড় আকারের খামার তৈরির জন্য এই দেশগুলিতে ব্যবহৃত সেরা পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করছে। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা পন্থাগুলিকে নকল করছে। তবে এই দেশগুলির কোনওটিতেই এরকম উব্বম্ব খামার ব্যবস্থা দেখা যায়নি।


 

Share this article
click me!