অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সাংবাদিক চেং লেই সম্বন্ধে তথ্য দিতে সরাসরি অস্বিকার করেছে বেজিং। গত দুসপ্তাহ ধরে কোনও অভিযোগ ছাড়াই যাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। চিন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রীতিমত সুদৃঢ়। এক সাংবাদিককে কেন্দ্র করে সেই সম্পর্কেও চিড় ধরতে পারে বলেই মনে করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
চেং লেই চিনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএনএর উপস্থাপক ছিলেন। প্রায় দু সপ্তাহ আগেই চেং লেইকে আটক করা হয়েছে বলেই দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশ মন্ত্রী ম্যারিস পায়েন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে বলা ১৪ অগাস্ট চেং লাইকে আটক করা হয়েছে। আর আটক হওয়ার পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একবারই মাত্র কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে কী কারণে একজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি বেজিং। অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ আটক সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতেও অস্বীকার করছে বেজিং।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে কোনও তথ্য তারা দিতে পারবে না। আইন অনুযায়ী পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলেও চিনা বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমে চেং লেইকে নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে লেইকে গৃহবন্দি করা রখা হয়েছে। দীর্ঘকাল তাঁকে আটকে রাখা হতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করেছে। তবে অনেক আইনজীবীই লেইএর হয়ে মামলা লড়তে রাজি হয়েছে। শি জিংপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অনেক সাংবাদিক।
একটি সূত্র বলছে চেং লেই শি জিংপিং এর সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন। একই সঙ্গে চিনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়েও চিনা সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে আটক করা হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।