শ্রীলঙ্কার বন্দরের দিকে ক্রমশ এগোচ্ছে চিনের জাহাজ, উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের

ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা এই জাহাজটিকে বন্দরে আসতে বাধা দেয়নি। যেখানে অর্থনৈতিক সংকটে ঘেরা শ্রীলঙ্কাকে ভারত অনেক সাহায্য করেছে। শ্রীলঙ্কাও এই সত্যকে মেনে নেয়। অন্যদিকে, চিনের কথা বললে, এই সংকটের সময়ে, শুধু শোক বিবৃতি দিয়েই দায়িত্ব ঘাড় থেকে নামিয়েছে বেজিং।

Parna Sengupta | Published : Aug 4, 2022 4:53 PM IST

ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও চিনের একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরের দিকে এগোচ্ছে বলে সূত্রের খবর। মার্কিন হাউস স্পিকারের তাইওয়ান সফরের পর, চিনা সেনা বৃহস্পতিবার থেকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মিডিয়া রিপোর্টে খবরে বলা হয়েছে, ১১ বা ১২ই আগস্টের মধ্যে এই জাহাজটি শ্রীলঙ্কার বন্দরে পৌঁছে যাবে। এই জাহাজে ৪০০ জনেরও বেশি চিনা সেনা রয়েছে এবং এটি প্যারাবোলিক ট্র্যাকিং অ্যান্টেনা এবং সেন্সর দিয়ে সাজানো। 

শ্রীলঙ্কা কেন বাধা দিচ্ছে না?
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা এই জাহাজটিকে বন্দরে আসতে বাধা দেয়নি। যেখানে অর্থনৈতিক সংকটে ঘেরা শ্রীলঙ্কাকে ভারত অনেক সাহায্য করেছে। শ্রীলঙ্কাও এই সত্যকে মেনে নেয়। অন্যদিকে, চিনের কথা বললে, এই সংকটের সময়ে, শুধু শোক বিবৃতি দিয়েই দায়িত্ব ঘাড় থেকে নামিয়েছে বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কারও অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চিনের কাছে প্রচণ্ড ঋণের নিচে চাপা পড়ে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা আগে থেকেই বলে আসছে তারা এই বন্দরকে সামরিক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না। কিন্তু বাস্তব হল, ২০১৭ সালেই চিনকে এই বন্দর লিজ দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সুতরাং এখন যদি এই বন্দর চিন ব্যবহার করে, তবে শ্রীলঙ্কার সেখানে কিচু বলার নেই। 

ভারতের উদ্বেগের কারণ কী?
ভারতের উদ্বেগ হল যে একবার ভারত মহাসাগরে একটি চিনা জাহাজ মোতায়েন করা হলে, এটি ওড়িশার উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ট্র্যাক করতে পারে। যদি সেটা সত্যি হয়, তবে চিন ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়াও, দক্ষিণের রাজ্যগুলির কাছাকাছি হওয়ার কারণে এটি কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর দিকেও নজর রাখতে পারে। এই জাহাজটি সাত দিন এই বন্দরে অবস্থান করবে। এই সময়ের মধ্যে, চিন ভারত সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন যে দিল্লি সম্প্রতি জানতে পেরেছে যে একটি চিনা জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরের দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। দিল্লির আপত্তির কথা শ্রীলঙ্কার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনি বলেন, এর আগে অন্যান্য দেশেও এ ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিন দাবি করেছে ভারত মহাসাগরে নজরদারির জন্য এই জাহাজ পাঠানো হচ্ছে।

Read more Articles on
Share this article
click me!