করোনাভাইরাসের কোপ মাউন্ট এভারেস্টেও , নেপালে কর্মহীন প্রায় ২০,০০০

Published : Mar 14, 2020, 03:35 PM IST
করোনাভাইরাসের কোপ মাউন্ট এভারেস্টেও , নেপালে কর্মহীন প্রায় ২০,০০০

সংক্ষিপ্ত

করোনার কারণে বন্ধ এভারেস্ট অভিযান  চিন ও নেপাল সরকারের যৌথ সিন্ধান্ত করোনার প্রভাব নেপালের অর্থনীতিতে  কাজ হারাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ 

চলতি মরশুমে অধরাই থেকে গেল সর্বোচ্চ শৃঙ্গ অভিযান। চিন ও নেপাল সরকারের যৌথ সিদ্ধান্ত, ১৪ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান।  নেপাল ও চিন সরকারের এই সিদ্ধান্তে রীতিমত হতাশ অভিযাত্রীরা। নেপালের পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি বসন্তে অভিযানের জন্য যেসব পারমিট দেওয়া হয়েছে তা বালিত করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে। সূত্রের খবর এভারেস্ট অভিযানে দেওয়া পারমিট থেকে নেপাল সরকার প্রতিবছর প্রায় ৪০ লক্ষ ডলার আয় করে।  প্রায় একই রকম ঘোষণা করেছে চিন তিব্বত মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চিনা ও জাপানি পর্যটক ফিরে গেছেন নিজের দেশের। প্রত্যেক বছরই এভারেস্ট অভিযানের জন্য এই সময় চিন ও নেপালে ভিড় জমাতে সুরু করেন অভিযাত্রীরা। কিন্তু এবার করোনার কারণে প্রবল হতাশ তাঁরা। 

নেপাল সরকারের এভারেস্ট অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে রীতিমত সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। কারণ নেপাল সরকারের মূল আয়ের অন্যতম উৎস হল এভারেস্ট অভিযান থেকে আসা টাকা। কিন্তু অভিযান বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের। প্রাথমিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কাজ হারাতে চলেছেন প্রায় ২০,০০০ হাজার মানুষ। নেপাল সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সেদেশে পর্বত অভিযাত্রী গাইডের সংখ্যা ১৬,২৪৮। আর ট্যুর গাইডের সংখ্যা ৪,১২৬। নেপালের অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হল  পর্যটন। যার অধিকাংশই আসে এভারেস্ট অভিযান থেকে। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের ব্যপক আর্থিক ক্ষতি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায়া নেপাল সরকার যে বন্ধপরিকর বলেও জানান হয়েছে। 
 
নেপাল সরকারের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই কমানো হয়েছে বিমান পরিবহণের সংখ্যা। ইতিমধ্যে একের পর  এক টিকিট বাতিল করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। যেসব পর্যটক নেপালে পৌঁছে গেছেন তাঁরাও দেশে ফেরার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন। 

করোনাভাইরাসের এই প্রকোপে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের। যারমধ্যে শুধু চিনেই মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। আগেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশ্বের সবকটি দেশকে সচেতন করা হয়েছিল। তখনই বলা হয়েছিল ভয়ঙ্কর এই জীবানুর প্রভাব পড়বে বিশ্বের অর্থনীতিতেও। সেই পথে হেঁটেই নেপাল দাঁড়িয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর আর্থিক ক্ষতির সামনে। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: ডিসেম্বরে আর ঠিক কতটা শীত পড়বে? রইল আবহাওয়ার আপডেট
১৬ বছরের নীচে আর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নয়, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত সরকারের