ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বেশ খানিকটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিওকোভ, এই ভাইরাস কতটা আতঙ্কের, চলছে গবেষণা

ওমিক্রন আতঙ্কে এখনও প্রতিনিয়ত দিন কাটাচ্ছে মানুষের, তার মাঝেই আবার উদ্বেগ বাড়াল করোনার নতুন আরও ভাইরাস নিওকোভ। চীনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ করোনা ভাইরাসটি নিয়ে আরও অনেক উন্নতমানের গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষের জীবনে এই ভাইরাস কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এবং তার জন্য রক্ষাকবচ কী হতে পারে এই গোটা বিষয়টি ভালভাবে অধ্যায়ন করতে হবে।

Kasturi Kundu | Published : Jan 29, 2022 1:40 AM IST

দুবছরের বেশী সময় পাড়। তবুও করোনা (Covid 19) আতঙ্ক যেন কোনওভাবেই পিছু ছাড়ছে না। বারবার রুপ পরিবর্তন করে ভয়ানক আকার ধারণ করছেন। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কে এখনও প্রতিনিয়ত দিন কাটাচ্ছে মানুষের, তার মাঝেই আবার উদ্বেগ বাড়াল করোনার নতুন আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট (Coroina ne virus)। এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের নাম নিওকোভ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা  হু-র তরফে (World Health Organization)শুক্রবার জানান হয়েছে, উহান গবেষকদের (Wuhan scientists) একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে একটি নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস, নিওকোভ (NioCov) খুঁজে পেয়েছেন। এক গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, এই ভাইরাসটি ভবিষ্যতে মানুষের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে। একইসঙ্গে হু-র তরফে জানান হয়েছে,  চীনা বিজ্ঞানীদের (Wuhan Scientists) উল্লেখিত নিওকোভ করোনা ভাইরাসটি নিয়ে আরও অনেক উন্নতমানের গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস হল ভাইরাসের একটি বড় পরিবার যা সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর কোনও সমস্যা (SARS) পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। বলা বাহুল্য,  ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বেশ খানিকটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিওকোভ (NioCov)।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র তরফে বলা হয়েছে করোনার যে নতুন ভাইরাস নিওকোভ সেটি নিয়ে তারা যথেষ্ঠ সচেতন। এই ভাইরাস মানুষের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে বা আদৌ ঝুঁকিপূর্ণ হবে কিনা সেই সমস্ত বিষয় আরও ভালবাবে পর্যালোচনা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা TASS-কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র তরফে জানান হয়েছে, গবেষণায় উঠে আসা করোনার এই ভাইরাসটি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন। মানুষের জীবনে এই ভাইরাস কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এবং তার জন্য রক্ষাকবচ কী হতে পারে এই গোটা বিষয়টি ভালভাবে অধ্যায়ন করতে হবে। তারপরেই করোনার নতুন ভাইরাস নিওকোভ নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। হু-এর মতে, মানব শরীরে ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগের উৎস বন্য প্রাণী। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, করোনা ভাইরাস প্রায়শই বাদুড়ের মতো প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন-Covid Update : করোনা গ্রাফ নামছে বাংলায়, একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান দেখে নিন

আরও পড়ুন-Corona Variant: করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে দ্বিগুণ হারে মৃত্যু, ভয় ছড়াচ্ছে NeoCov

আরও পড়ুন-Door Vaccine Project-কোভিড টিকাকরণের জন্য আর লম্বা লাইন নয়, ফেব্রুয়ারিতেই চালু হচ্ছে দুয়ারে টিকা প্রকল্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হ-এর তরফে আরও বলা হয়েছে, তারা এই নতুন নিওকোভ ভাইরাস মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে চিনা গবেষকদের তাঁদের রিসার্চের প্রিপ্রিন্ট শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। উল্লেখ্য, এই নিওকোভ দীর্ঘদিন ধরে বাদুড়ের শরীরে রয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ওই গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে, নিওকভ ভাইরাসটিও কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতোই মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। BioRxiv-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার প্রিপ্রিন্ট। তবে পিয়র রিভিউ এখনও বাকি রয়েছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, নিওকোভের মাত্র একটি মিউটেশন হলেই মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এই প্রসঙ্গে একটা কথা অবশ্যই উঠে আসে, এই নিওকোভ ভাইরাসটির সঙ্গে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের অনেকটা সাদৃশ্য রয়েছে। ২০১২ সালে এই রোগটি প্রথম সৌদি আরবের নাগরিকদের মধ্যে সনাক্তকরণ করা হয়েছিল। 

Share this article
click me!