করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আগামী বছর প্রথম দিকেই হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যাচ্ছে ইউনিসেফ, আর সেই দিকেই লক্ষ্য করেছে ইতিমধ্যে যাতে বিশ্বের শিশুদের দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক বিলি করা যায় সেই জন্যই চলতি বছরই ৫২০ মিলিয়ন সিরিঞ্জ মজুতের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে প্রতিষেধক বিলি করার জন্য একটি রোড ম্যাপও তৈরি করা হবে বলে জানান হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থার পক্ষ থেকে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রয়োজনী সামগ্রী কেনার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছেন প্রতিষেধক নিরাপদ ও দ্রুত বিলি করাও তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েগেছে। তাদের পরিকল্পনা রয়েছে টিকা প্রদানের জন্য এক বিলিয়ন সিরিঞ্জ কেনা। আর সেই তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৫২০ মিনিয়ন সিরিঞ্জ কেনা হয়েছে। যা শুরু করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজেই ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি হাম, টাইফয়েডসহ একাধিক রোগের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তার জন্য আরও ৬২০ মিনিয়ন সিরিঞ্জ সুররক্ষিত করা হবে বলেও জানান হয়েছে।
ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হেনরিচটা ফোর জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিষেধক প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা হবে। যা মানব ইতিহাসে বৃহত্তম গণউৎপাদন হিসেবে পরর্তীকালে চিহ্নিত হবে। আর সেই প্রতিষেক দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁজে দেওয়া প্রয়োজন। আর সেই কারণেই এখন থেকেই কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। একাধিক বেসরকারি সংস্থা তাদের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইউনিসেফ বলেছেন জিএভিআই প্রতিষেধক বিলির কাজে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। ওই সংস্থাটি প্রতিষেধক, সিরিঞ্জ, সুরক্ষা বাক্স প্রভৃতি সংগ্রহ করার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করবে। আর করোনা প্রতিষেধক বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংস্থাটি সাহায্য করছে। প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিসেফ ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ সেফটি বাক্স কিনেছে। যাতে সিরিঞ্জ আর সুঁচ স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার যাবে। প্রতিটি সুরক্ষা বাক্সে একশোটি সিরিঞ্জ রাখা যাবে। একএকটি সিরিঞ্জ আর সুঁচ পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যবহৃত অবস্থায় রাখা যাবে। দ্রুততার সঙ্গে নিরাপদে সবকিছু সরবরাহের ওপরেই জোর দেওয়া হয়েছে।