এবার কোয়ারেন্টাইনে যেতে হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেড্রস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসুসকে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি এমন এক ব্যক্তির সংস্পর্শে যে ব্যক্তি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন। আর সেখানে পজেটিভ রেজাল্ট পেয়েছেন। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে তিনিও স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার যেসবস লক্ষণগুলি থাকে সেগুলি কোনওটি নেই তার মধ্যে। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বনের কারণেই তিনি স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্নতা অবলম্বন করেছেন।
৫৫ বছরের টেড্রস, ইথিওপিয়ার প্রাক্তন স্বস্থ্য ও বৈদেশিক বিষয় মন্ত্রী বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। রাষ্ট্র সংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত টেড্রস প্রথম থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল ছিলেন। চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই মহামারি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন মহামারির বিরুদ্ধ যুদ্ধে তিনি আগামি দিনেও সামিল থাকবেন। প্রথম বিশ্বের পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিও যাতে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে সেদিকেও তীব্র নজর দিয়েছেন তিনি।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই বারবার হাত ধোয়া, মাস্কের ব্য়বহার করা ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরেই জোর দিয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সতর্কতা অবলম্বনের ওপরেও জোর দিয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আমারা সরকলেই যদি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি তাহলে ভাইরাসটির সংক্রমণের চেইনকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম হব। কিন্তু তিনি এজাতীয় মন্তব্য় যখন করছেন তখনই ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আবারও নতুন করে প্রায় লকডাউনের পথে হাঁটছে বিশ্বের অনেকগুলি দেশে। আবার কোনও কোনও দেশে নতুন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বার, রেস্তোর, সিনেমা হলসহ বিনোদন পার্কও। গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।