মানব সভ্যতার অঙ্গাঙ্গী অংশ হতে চলেছে করোনা, এই ভাইরাস যাওয়ার নয়, সতর্ক করে দিল 'হু'

  • করোনাভাইরাস পৃথিবীকে থেকে কখনোই হয়তো যাবে না
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' দিল নয়া সতর্কবার্তা
  • ইবোলা বা এইচআইভির মতোই করোনা থেকে যাবে বিশ্বে
  • এবার থেকে তাই করোনাকে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে

Asianet News Bangla | Published : May 14, 2020 4:54 AM IST / Updated: May 14 2020, 10:33 AM IST

মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রনণ রুখতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের প্রথম সারির আধুনিক দেশগুলি। ইতিমধ্যে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে ঘাঁটি গেড়েছে এই মারণ ভাইরাস। গোটা দুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছুঁতে চলেছে। এর মধ্যেই নতুন সতর্কবার্তা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'। নভেল করোনাভাইরাস কখনোই দূর হবে না, বরং নিজেকে আপডেট করে নতুন ভাইরাসের সাথে মিশে প্রতিবছর পৃথিবীজুড়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে, জানিয়ে দিলেন 'হু'-এর ডিরেক্টর ড. মাইক রায়ান। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাফ বক্তব্য, এবার থেকে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকার উপায় জানতে হবে বিশ্বকে। দুনিয়া ছেড়ে কোনও দিনই যাবেনা কোভিড ১৯। ঠিক ইবোলা বা এইচআইভির মতোই এই ভাইরাস থেকে যাবে পৃথিবীতে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের কর্মকর্তা রায়ান বলেন, ' এইচআইভির সঙ্গে কীভাবে লড়াই করে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে, তা আমরা শিখেছি। আমাদের বাস্তবকে বুঝতে হবে। আমরা জানিনা কবে এই রোগ আমাদের ছেড়ে যাবে।'

ড. মাইক রায়ান আরও বলেন, ‘এডসের সঙ্গে করোনাকে তুলনা করছি না। কিন্তু আমি মনে করি বাস্তবতা মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক কখন এই রোগ থেকে বিশ্ব পুরোপুরি মুক্তি পাবে এমন ভবিষ্যৎবাণী কেউ করতে পারবে — এমনটা আমি মনে করিনা। টিকা দিয়ে হয়তো আমরা এই করোনাকে সরিয়ে দিতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রে টিকা সহজলভ্য করতে হবে এবং তা অত্যাধিক কার্যকরী হতে হবে।’

ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি, আমেরিকার পরেই করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় রাশিয়া

বাড়ি ফেরার সাধ অপূর্ণই থেকে গেল ওঁদের, জোড়া দুর্ঘটনায় পরিযায়ীদের রক্তে ফের রাঙা এদেশের রাজপথ

আক্রান্তের সংখ্যায় জার্মানিকে ছাড়াল ব্রাজিল, জিম ও বিউটিপার্লার খুলতে মরিয়া বলসোনারো

বর্তমানে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। প্রায় ১০০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে  কয়েতটির ট্রায়ালও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ড. রায়ানও জানিয়েছেন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই একমাত্র করোনাকে ধ্বংস করা যেতে পারে। 

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে করোনা প্রথম থাবা বসিয়েছিল চিনের উহান শহরে। তার পর সাড়ে পাঁচ মাস সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কমার বদলে গোটা বিশ্বে আরও জাঁকিয়ে বসেছে এই মারণ ভাইরাস। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে করোনা।  এই আবহে মাইকেল রায়ান সতর্ক করেছেন , "করোনা সম্পর্কে আমরা কেউ কিছুই জানতাম না। কাজেই এর প্রতিকারও হঠাৎ খুঁজে পাওয়া সম্ভব না ।"

বর্তমানে বহুদেশই করোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউনের আশ্রয় নিচ্ছে। আবার বহু দেশই লকডাউন ভেঙে বেরিয়ে এসে অর্থনৈতিক কাজ শুরু করছে। হু এর দাবি, লকডাউনেই সমস্যা যে মিটবে তেমন কোন নিশ্চয়তা নেই। আবার লকডাউন  শিথিল হলে, করোনা দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ শানাবে না, তার গ্যারেন্টিও নেই।

Share this article
click me!